"বিজুর বিচার চাই" এই শ্লোগানে স্বাধীন দেশের আকাশে উড়েছিল বেলুন।দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গেছিল পোস্টারে। কে এই বিজু, যার জন্য 'চিরকুমার' ছিলেন জয়নাল হাজারী। বিজুর বিচার চাই,খুবই আলোচিত সংলাপ। সকলেই কমবেশি শুনেছেন বলে আশা করা যায়। জয়নাল হাজারী ‘মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে ছিলেন পাক হানাদার বাহিনীর সাক্ষাৎ যম। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী তিনি ছিলেন রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধীদের যম। বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী ছিলেন বহুল আলোচিত, সমালোচিত দেশপ্রেমিক এক সাহসী রহস্যময় পুরুষ। ইতিহাস, ধর্ম, সাহিত্য বা বিশ্বের যেকোনো বিল্পবী নেতাদের সম্পর্কে তিনি ছিলেন জ্ঞানগর্ভ।’ মহান মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার আগে বিজুর সাথে কথা ছিল- যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে মহা ধুমধামে বিজুকে বিয়ে করবো। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জানতে পারি, জোর করে কোনো এক রাজাকারের সাথে বিজুর বিয়ে দেওয়া হয়েছে! প্রতিজ্ঞা করি, যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে ওই রাজাকারকে প্রথম খুন করব। দেশ স্বাধীন হয়, ফিরে আসি। ফিরে এসে জানতে পারি,জোর করে বিজুকে বিয়ে দেওয়া হয়নি। বিজু তার নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। এটা জানার পর চুপ হয়ে সারা জীবন চিরকুমার থেকে যাই। #জয়নাল_হাজারী_বলছি । আত্মজীবনী!! বই তে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে তার ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের তান্ডবিও ইতিহাস...