বিষণ্ন সরোদে বসন্ত (হার্ডকভার)

কাব্যকথার বিবিধ অক্সিজেন নিয়ে বিপন্ন বিস্ময়ে মোড়ানো গ্রন্থ ‘বিষণ্ন সরোদে বসন্ত’। এ গ্রন্থের প্রায় কবিতা অনেক দূরের হাতছানিতে বলা না-বলা কথার নিদ্রাহীন আলোড়ন। কবিতা বরাবরই ভাষিক শিল্প। ভাষা টেনে নিয়ে যায় শিক্ষিত আবেগের রূপমাধুর্যে; গ্রহণের কালে রেখে যায় ভিন্ন সময়ের স্মৃতিজ আহার। ভাষিক উৎসবে এবং আগামীর উৎসারণে উদ্দীপিত সংযোজন এ কবিতাগ্রন্থে কবি কথা বলেন ঘেরাটোপে স্বপ্ন-সংগতি নিয়ে; আশা-নিরাশার দোলাচলে পাথুরে সময়কে ধারণ করে বিষণ্ন বিকেলের ছবি আঁকেন। আড়ালপ্রধান কবিতাগুলো সমুদ্রের সাদা ফেনার মতো চিকচিক করে ওঠে তীরের বালিয়াড়িতে। মায়া, স্বপ্ন এবং কুহেলিকা মোচড়ানো অনুভূতি সকালের শিশিরের মতো সুদর্শন। কোথাও অবগাহনের স্বরসংগীত, কোথাও মর্মর বুননের স্বরাঘাত শোনা যায়। তামজীদ আহমেদ, তরুণ কবি, বিদ্যমান সংকটের ঊর্ধ্বে দেখেন বিষণ্নতা সুন্দরের; বিপন্ন মানবিকতার দীর্ঘশ্বাসে লোপাট করেন শব্দানুভূতি। এ খেলায় তরুণ কবি যেন হয়ে ওঠেন একাকী এক বিশ্ব, আলো-অন্ধকারের জন্মভূমি। বসন্তের পাখি ডাকা ভোরে কবি সরোদ অভিমানে নিমজ্জিত। সরোদ বেজে উঠলে কোনো বিপন্ন দুপুরে পাঠক হয়তো জানবে সরোদের কান্না শুনে সে বেঁচে যাবে কি না। দূরের পাঠক, কাছের বন্ধু দূরে কিংবা পাশে থেকে এক তরুণের সরোদবাদন শুনুন।