পন্ডিত ভয়ে ভয়ে সম্রাটকে একটা গল্প বলে। “আপনার বাবা রাতে ছদ্মবেশে বের হত।চারদিকে কেবল শুনতে পেত মুহাম্মদের জয়গান।যারা প্রশংসা করত তাঁদের হত্যা করত।ফরমান রাজি করেছিল মুহাম্মদের নাম কেউ উচ্চারণ করলেই মৃত্যুদণ্ড। ফিসফাস করে মুহাম্মদের জয়গান কেউ করছে এই সন্দেহও তাদের হত্যা করেছে।বীভৎস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।মানুষ মুহাম্মদের নাম উচ্চারণ করতে ভুলে গেল।তখন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসতে লাগল।পুরো রাজ্যে ছেয়ে গেল সেই পাখি দিয়ে।সেই পাখির নাম কেউ বলতে পারল না। আগে কেউ দেখেওনি!কোথা থেকে এই পাখিরা এলো?কেউ কেউ বলল এই পাখি স্বর্গীয় পাখি।মুহাম্মদের নাম উচ্চারণ করায় সম্রাট নিরীহ মানুষদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে,তার প্রতিশোধ নিতে এই স্বর্গই পাখিরা এসেছে। মানুষ যখন মুহাম্মদের প্রশংসা করেছিল তখন আপনার বাবার পাগল হওয়া বাকি ছিল।স্বর্গীয় পাখি এসে পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছে।সেই স্বর্গীয় পাখিরা কেবল একটা শব্দই উচ্চারণ করত।উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে কেবল ডাকত মুহাম্মদ... মুহাম্মদ...।আপনার বাবা পাখি হত্যা করার নির্দেশ দিল।রাজ ফরমান জারি করল।পাখি হত্যা করতে পারলে রাজকোষাগার থেকে মোটা অংকের অর্থ পাবে।সবাই পাখি নিধনে লেগে গেল।অবস্থা হলো আরো খারাপ।এত এত পাখি আসতে লাগল যে প্রজারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল পাখি হত্যা করতে করতে।রাজকোষাগার শূন্য হওয়ার অবস্থা হয়।পাখিদের মুহাম্মদ ডাকাটা বন্ধ করতে পারল না।আপনার বাবা আত্মাহত্যা করল। আত্মহত্যার জন্য মুহাম্মদই দায়ী।মুহাম্মদকে হত্যা করবেন না?বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেবেন না?” বিঃদ্রঃ এ বইটি হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কিত কোনো বই বা ফ্যান্টাসি নয়। গল্পের মূল চরিত্র মুহাম্মদ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি মিস্টিক্যাল ক্যারেক্টার।
ওসমান সজীব এর বেড়ে ওঠা ঢাকার জুরাইনে। জুরাইনে শৈশব-কৈশোর কেটেছে, যৌবনও কাটছে।২০১৫ তে বৈশাখী টিভি আয়োজিত ‘তোমার গল্পে সবার ঈদ’ ক্যাম্পেইনে সারা দেশ থেকে ১২৫০০ গল্প জমা পড়ে। প্রধান বিচারক ইমদাদুল হক মিলন, সেলিনা হোসেন, আনিসুল হক এর রায়ে তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকার নির্বাচিত হন। টিভিতে একাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে।তাহসান, অপূর্ব, মিথিলা অভিনীত তাঁর লেখা 'কথপোকথন' নাটকটি পাঠক ভোটে সেরা নাটক নির্বাচিত হয়। একই বছর তাহসান, অপূর্ব, মিথিলা অভিনীত তাঁর লেখা ‘ভালোবাসার পংক্তিমালা’ নাটকটি সারা দেশে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলে।