“নুরুল মোমেন ও তাঁর নাটক" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ আধুনিক বাংলা নাটকের ধারায় বিষয়বস্তু নির্মাণ, গঠনশৈলীর স্বাতন্ত্র ও উপস্থাপনা রীতির সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নুরুল মােমেন ছিলেন নাট্যশিল্প ঐতিহ্য-নির্মাণের অন্যতম প্রতিভা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নতুন জীবনবােধ ও পাশ্চাত্য কলাকৌশল সমৃদ্ধ নাট্যকলার যথার্থ প্রয়ােগ তার নাটকেই প্রথম পরিলক্ষিত হয়। বিশ্ব নবনাট্যাঙ্গন সম্পর্কে সুগভীর ধ্যান-ধারণা থাকায় তিনি বিষয়। ও প্রকরণে নতুনত্ব এনেছেন। ট্রাজেডি, কমেডি ও সামাজিক নাট্য রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তাঁর নাটকে পরিশীলিত বাক্য গঠন, বিভিন্ন ভাষার শব্দ প্রয়ােগ নৈপুণ্য, সূক্ষ্ম পরিচ্ছন্ন কৌতুকপ্রিয়তা অসাধারণ পরিমিতিবােধে প্রাণময় হয়ে উঠেছে। রূপক-প্রতীক, উপমাঅনুপ্রাস-চিত্রকল্পের মেধাবী সংযােজনায় নাট্য সংলাপে এসেছে কাব্যধর্মী ব্যঞ্জনা। নাট্যরচনার পাশাপাশি প্রবন্ধ-নিবন্ধ, রম্যরচনা, ছােটগল্প ও কবিতা রচনায় বুদ্ধিবৃত্তি ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন। বাংলা নাটকের প্রথাবদ্ধ স্থবির ধারায় তিনি এনেছেন সৃজনশীল, পাশ্চাত্যধর্মী নাট্য সৌষ্ঠব। গঠনশৈলীর স্বাতন্ত্রে, অবয়ব সংগঠনের দক্ষতায় তিনি অদ্বিতীয় ও অনতিক্রান্ত। নুরুল মােমেনুএর জীবন ও নাট্যকর্মের পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন ভিত্তিক গ্রন্থ ‘নুরুল মােমেন ও তাঁর নাটক।
সৈয়দা খালেদা জাহানের জন্ম ১৯৫৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় । পিতা মরহুম সৈয়দ গােলাম মুস্তাফা। মাতা সৈয়দা জাহানারা বেগম। ১৯৮১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ‘বাংলা নাটকে নুরুল মােমেন' শীর্ষক গবেষণা অভিসন্দর্ভের জন্য তিনি এম. ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচ-ডি গবেষণায় নিয়ােজিত রয়েছেন। ১৯৯৪ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে (দিবা শাখা) প্রভাষক পদে যােগ দেন। তাঁর প্রকাশিত (জীবনী) গ্রন্থ : জেব-উন-নেসা জামাল (বাংলা একাডেমী, ১৯৯৯)। ইতােমধ্যে তাঁর বেশ কিছু কবিতা গল্প, রম্যরচনা, প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।