"ক্ষুদিরামের কথা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চির প্রার্থনাময় এক নাম ক্ষুদিরাম'। তার সেই দুর্নিবার বিপ্লবী প্রতিফলন যুগে যুগে যুব মানসের অম্লান দর্পণ । মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিপ্লবী আগুনে ঝলসে দ্রোহের যে স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে আজও তা চিৎকার করে কথা বলছে। পাতলা চেহারার ধুতি শার্টে পবিত্র এই অবয়ব মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার্থে নির্ভয়ে ফাঁসির রজ্জু চুম্বন করে আজন্ম স্বাধীনতাকামী মানুষের হৃদয়রাজ্যে অভিষিক্ত হয়ে আছেন। উল্কার মতাে বীর ক্ষুদিরামের উত্থান আবার উল্কার মতােই সারা পৃথিবীকে জানিয়ে প্রস্থান। আঠারাে বছরের বীর প্রতীক ক্ষুদিরাম জগৎকে জানিয়ে গেছেন ১৮ বছর বয়স কাঁদতে জানে না। তাই ১৮ বছরের দুর্বার যুবক মানেই হৃদয়ে ক্ষুদিরাম। দামাল কিশাের ক্ষুদিরাম ছিলেন কুসুম কোমল হৃদয়ের অথচ উদ্দেশ্য সাধনে বজ্রকঠিন । শিশুর মতাে সারল্য আর সিংহের মতাে সাহসী ক্ষুদিরাম জানিয়ে গেছেন এই না হলে ১৮ বছর বয়স; যার প্রতি সেকেন্ড হার না মানা ভয়ঙ্কর নিনাদ।। শহিদ বিপ্লবী বীর ক্ষুদিরাম বসুর জীবন বর্ণনায় বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বহু বই রচিত হয়েছে। ক্ষুদিরামের জীবন ভিত্তিক উল্লেখযােগ্য বই ও লেখকদের মধ্যে আছেন- উপন্দ্রেনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাসিতের আত্মকথা, কালীচরণ ঘােষের জাগরণ ও বিস্ফোরণ, ভূপেন্দ্রকিশাের রক্ষিত রায় রচিত ভারতে সশস্ত্র বিপ্লব, মতিলাল রায়ের আমার দেখা বিপ্লব, সতীশ চন্দ্র পাকড়াশীর অগ্নিযুগের কথা, যাদুগােপাল মুখার্জি প্রণীত বিপ্লবী জীবনের স্মৃতি, পূৰ্ণানন্দ দাসগুপ্ত রচিত বিপ্লবের পথে, ভুপেন্দ্র কুমার দত্তের বিপ্লবের পদচিহ্ন, ঈশান চন্দ্র মহাপাত্রের শহীদ ক্ষুদিরাম, প্রভাস চন্দ্র লাহিড়ী রচিত বিপ্লবী জীবন, অমরেন্দ্র কুমার ঘােষ লিখেছেন অগ্নিযুগের নায়ক, হেমচন্দ্র দাস কানুনগাে’র বাংলার বিপ্লবের প্রচেষ্টা, নালনী কিশাের গৃহ রচিত বাংলার বিপ্লববাদ।