এই বইটি গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বের আখ্যান দিয়ে। এই বন্ধুত্ব কয়েকজন গুণীমানুষের। সতেরটি গদ্যে চৌত্রিশ জন বিশেষ মানুষের বন্ধুত্বের ছবি আঁকা হয়েছে। এর মধ্যে এগারজন অকপট কনফেশনে তাঁদের সখ্যের গোপনবাণী ব্যক্ত করেছেন। আর ছয়টি লেখায় দুই বন্ধুর সখ্য-সমীপ্যের সাধু উপস্থাপন ঘটেছে। প্রথম পর্বে গদ্যগুলো লিখেছেন বিশিষ্টজনেরা তাঁদের নিজেদের বন্ধুদের সাহচর্যের আশ্চর্য দিকচিহ্ন সহ। এই বন্ধুরাও কিন্তু বিশেষজন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন দীনবন্ধু মিত্রকে নিয়ে তারপর একে একে এসেছেন স্বর্ণকুমারীদেবী, অসমঞ্জ মুখোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়, গজেন্দ্রকুমার মিত্র হেমন্তকুমার সরকার, অমিয় দেব, সমীর চট্টোপাধ্যায়, সমীর রায়চৌধুরী ও সুধীর চক্রবর্তী। বন্ধুরা হলেন যথাক্রমেগিরীন্দ্রমোহিনী দাসী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, নজরুল ইসলাম, সজনীকান্ত দাস, সুভাষচন্দ্র বসু: পৃথ্বীশ গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে সুনীল গাঙ্গুলী ও আরো কেউ কেউ) এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তালিকাধারীদের নতুন করে পরিচয় দেবার নেই। অধিকাংশই সাহিত্যিক। সঙ্গে আছেন সম্পাদক, চিত্রশিল্পী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, অভিনেতা। দ্বিতীয়পর্বে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলী, জগদীশচন্দ্র বসু ও সিস্টার নিবেদিতা, কাজী নজরুল ইসলাম ও শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, সুকান্ত ভট্টাচার্য ও অরুণাচল বসু এবং গোকুলচন্দ্র নাগ ও দীনেশরঞ্জন দাস এবং নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও অরুণকুমার সরকারের সখ্যের আখ্যান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এরা কেউ সাহিত্যিক, কেউ সম্পাদক, কেউ বিজ্ঞানি, কেউবা সমাজ সংস্কারক। কিন্তু তাঁদের কোনো পরিচয় বন্ধুত্বে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।