ভালোবাসা। সোজা সাপ্টা এই শব্দটা, যেমন দুটো মানুষের মনে আর প্রানে আন্দোলন জাগাতে পারে। প্রচন্ড ঝড় আর বৃষ্টিতে, খড়- কুড়টোর মতো ভেসে আসার পর, একটা বড় গাছের তলায়. সবদিক দিয়ে সংরক্ষিত, একটা আশ্রয় দিতে পারে।
আবার তেমনি ভাবে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে একটা শান্তির আবাসনকে। একই সঙ্গে আশ্রয় দিতে পারা, আবার আশ্রয়হীন করতে পারার, এরকম ক্ষমতা, ভালবাসা ছাড়া, পৃথিবীর বুকে, আর কিছুতেই দেখা যায় না। না শুধুমাত্র পৃথিবী নয়। এই মহাকাশেও, সব ভাঙ্গন আর সৃষ্টির মূল হচ্ছে ‘ভালোবাসা’।
নীহারিকা থেকে তারা, সবই ভালোবাসার চুম্বকে আকৃষ্ট হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে দিবারাত্রি। বিরহ থেকে উত্তালতা, বিন্দু থেকে সিন্ধু, সবকিছু পাওয়া থেকে, কিছু না পাওয়া, সব প্রতিশ্রুতি না রাখার পরেও, প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করা, শ্রী জয়দীপের 'অনন্তের ব্লাকবোর্ড' কবিতার বইটিতে উঠে এসেছে, ভালোবাসার বিপুল বৈচিত্রতা, যার মধ্যে বেশ সাবলীলভাবে সহঅবস্থান করছে স্কুলের মধ্যবয়স্ক মাস্টার মশাইয়ের নিষিদ্ধ প্রেম,এর সঙ্গে এক ডিভোর্সির, বিরহ যন্ত্রনা, যা শুধু চোখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।
২৬টি কবিতা আটকে থাকেনি শুধুমাত্র প্রেমিকার ভালবাসায়, শ্রী জয়দীপের কবিতা, সৃষ্টির সমস্ত অংশে খুজে পেয়েছে ভালোবাসা। প্রতিটা কবিতায় যেন ভালোবাসার রসকে নিংড়ে দেওয়া হয়েছে। যুবক থেকে প্রৌঢ, বালিকা থেকে মধ্যবয়স্ক, সবাই খুজে পেতে পারেন ভালবাসার বৃষ্টিকে যা ঝরে চলেছে, অবিরত জীবনের সমস্ত মুহূর্ত গুলোতে, যেখানে ঘেন্নাও বা হিংসাও একটা ভালোবাসা, যা ভ্রান্ত দিকে চলে গেছে।
শব্দের মায়াজালে, এ যেন এক অসীম ভালবাসার সন্ধান, যা বুকটা কে জুড়িয়ে দেয়, মনটাকে নিয়ে যায় একটা অন্য উচ্চতায়।