“কানাডার রূপকথা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ কানাডার ফোকলাের বা লােকলােরের ঐতিহ্য পূর্বদেশীয় বা ওরিয়েন্টাল এবং পাশ্চাত্য বা ইউরােপিয়ান জাতির তুলনায় অপেক্ষাকৃত নতন। ফরাসি, আইরিশ ও ব্রিটিশ অভিবাসীরা যারা প্রথমে নতুন দেশ কানাডায় এসে বসতি স্থাপন শুরু করেন তারাই তাদের পূর্বতন দেশসমূহ থেকে মুখে মুখে এইসব রূপকথার উপাদান বহন করে আনেন-যার শেকড় রয়ে যায় সেখানে। নতুন দেশ কানাডার সংস্পর্শে এসে রূপকথাগুলাে কানাডিয়ান সৌরভে ভরে যায়। কানাডিয়ান ঐতিহ্যের সংস্পর্শে রূপকথাগুলােয় এক নতুন মাত্রা সংযােজিত হয়। রূপকথার মায়াবী ও মােহনীয় জগত নতুন দেশের মাটির গন্ধে সুরভিত হয়ে ওঠে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুখে মুখে বলা রূপকথাগুলাে বিষয়বস্তুর দিক থেকে সেরা ও পূর্ণাঙ্গ। রূপকথাগুলােয় রয়েছে জাদুর। মায়াঞ্জন এবং নানা রকম অসম্ভব ঘটনা যা ঐতিহ্যবাহী রূপকথার জগতেই সম্ভব। এখানে রয়েছে। দৈত্য-দানব, ডাইনি ও বন্য শিংওয়ালা হরিণ জাতীয় জন্তু যা ইউনিকর্ণ নামে পরিচিত। রূপকথাগুলােয় রাজন্যবর্গ দেখা পান দরিদ্র রাখাল বালকদের, সাদা বেড়ালগুলাে পরিণত হয়। সুন্দর রাজকুমারীতে এবং জন্তর কথা বলে মানুষের সাথে। খ্যাতনামা গল্প বলিয়ে ইভা মাটিন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রূপকথাগুলাে পুর্নলিখন করেছেন এগুলাের মূল শেকড় অক্ষুন্ন রেখে। এর ভাষা সঞ্জসরল ও মাটির কাছাকাছি-যা রূপকথাগুলাের। উৎকর্ষতা ও কল্পজগতকে এতটুকুন ক্ষুন্ন করেনি। সংকলনে অন্তর্ভুক্ত বারােটি রূপকং এবারই প্রথম বাংলা ভাষান্তর করেছেন। হােসেন মীর মােশাররফ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে । কানাডা অভিবাসীদের দেশ। কানাডায় আজ অবস্থান করছে হাজার বাঙালী পরিবার। তাদের। ছেলেমেয়েদের এবং বাংলাদেশের শিশু-কিশােরদের কাছে কানাডার রূপকথা আদরণীয় ও গ্রহণীয় হবে বলে আশা রাখি।