“টাকা এলো কেমন করে” মুদ্রার ধারণাটি কীভাবে বিকশিত হয়েছে, সেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমত একটি চমকপ্রদ গ্রন্থ।
প্রাচীন মানুষদের সরাসরি পণ্য বিনিময়ের মতো সরল প্রথা থেকে শুরু হয়ে পাথর, কড়ি, লবণ কিংবা আরও নানান বস্তু ইতিহাসের নানান পর্বে কেমন করে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে, কীভাবে ধাতব মুদ্রা থেকে কাগজের মুদ্রার বিবর্তন ঘটলো, আজকে কীভাবে দেখাও যায় না, ছোঁয়াও যায় না, এমন সব মুদ্রায় লেনদেন সম্পন্ন হচ্ছে-- সেই পুরো ইতিহাসকে এক নিঃশ্বাসে পড়বার উপযুক্ত করে সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন সিরাজুল ইসলাম কাদির।
“টাকা এলো কেমন করে” বইটিতে মুদ্রার এই বিবর্তনের ধারা পড়তে গেলে যেন একটা সময় পরিভ্রমণের স্বাদ মিলবে।
কত বিচিত্র সব জাতি তাদের সভ্যতার উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে আমাদের আজকের চেনা টাকার জগৎটাকে তৈরি করছে, সেই ধারণাটা যেমন পাঠকের হবে, তেমনি বোঝা যাবে যে মুদ্রার এই বিবর্তন থেমে নেই, বরং নতুনতর সব ধরনের টাকার রূপান্তর ঘটছে, টাকার লেনদেন হচ্ছে নতুন নতুন সব মাধ্যমে।কিশোরদের জন্য লেখা হলেও সব বয়েসি পাঠকই জানবার ও ভাববার বিপুল খোরাক পাবেন ছোট্ট এই গ্রন্থটিতে।