বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে কলকাতায় আশ্রয় পাওয়া সিয়াম নিজের অজান্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ শুরু করে। মনের মধ্যে পুষে রাখে রাগ ক্ষোভ। যেভাবেই হোক তার দুরবস্থার জন্য দায়ী সকলকে সে শাস্তি দেবেই। কলকাতায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক বলিষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় সিয়ামের। তাঁর আস্থাভাজন হয়ে ফিরে আসে বাংলাদেশে। ছদ্মবেশে হোটেল সোনারগাঁওয়ে কাজ শুরু করে। সেখানে আজমী নামের পাকিস্তানের এক গুপ্তচরকে হত্যা করে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থায় তার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
কিন্তু ঘটনা বইতে শুরু করে অন্য খাতে। আন-অফিসিয়াল তদন্তে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার আরও কয়েকজন আসে ঢাকায়।
অন্যদিকে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে ফেলে বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থা। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে আজমী নামের মেয়েটিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সিয়ামের বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত শুরু হয়। আবার তুসি নামের এক মেয়েকে খুঁজছে ভারতীয় গোয়েন্দারা? কিন্তু কেন? কে এই তুসি? সিয়াম কেন তুসির সঙ্গে খারাপ আচরণ করে?
সিয়ামের বিরুদ্ধে তদন্তের শেষ পর্যন্ত কী হল? সিয়াম কি বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি পেল? শেষপর্যন্ত সে কি তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের প্রতিশোধ নিতে পারল নাকি আরও একটা ব্যতিক্রমহীন ব্যর্থতার গল্প হয়ে উঠল সিয়ামের জীবন?