বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাস যাওয়ার কারণে যে বিশ্ব- জলবায়ু পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে এ সম্পর্কে দ্বিমত করার মত মানুষ এখন নেই বললেই চলে। বিশ্বের চিন্তাশীল সব মানুষের কাছে ও নীতিনির্ধারকদের কাছে বিষয়টি এখন সব চেয়ে জরুরী বিষয়গুলোর অন্যতম। এমন ঐক্যমত ও সচেতনতা সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে এ সম্পর্কে গবেষণার দ্রুত অগ্রগতির ফলে। বিশ্বের নানা অঞ্চলে জলবায়ুতে এখনই যে সব অঘটন ঘটছে এর অনেকগুলোকে গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার আলোকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছে এমনি গবেষণার মাধ্যমেই। আগামীতে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের সকল মানুষের জন্য আরো অনেক ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিচ্ছে, বাংলাদেশের মত কিছু কিছু দেশের জন্য তো বটেই। এসব কখন কোথায় কীভাবে ঘটবে সে সম্পর্কে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী করাও সম্ভব হচ্ছে। এ সম্পর্কে গবেষণা উপাত্তগুলো বৈজ্ঞানিক নিয়ম-নির্ভর মডেলের মধ্যে ব্যবহার করে এখন আমরা বুঝতে পারছি ৫০ বছর পর এর ফল কী হবে, অথবা ১০০ বছর পর কী হবে, ইত্যাদি। একটি কথা স্পষ্ট যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন বাড়ছে পাগলা ঘোড়ার মত চক্রবৃদ্ধি হারে। তবে আমাদের জীবনযাত্রার ভঙ্গীতে এখন থেকে নিয়ন্ত্রণ করে এর লাগাম টেনে ধরা এখনো সম্ভব। সেক্ষেত্রে ঠিক কী কী করতে হবে তাও গবেষণা থেকে আমরা জানতে পারছি। তা আমরা করবো কি?
মুহাম্মদ ইব্রাহীম (জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৪৫) বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক এবং বিজ্ঞান সংগঠক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। তিনি সেন্টার ফর মাস এডুকেশন ইন সাইন্স (সিএমইএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সত্তরের দশক থেকেই তিনি এই প্রক্রিয়া শুরু করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞান চর্চার গ্রামীণ আনন্দ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। এর একটি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলায় অবস্থিত। তিনি বিজ্ঞান সাময়িকী নামক একটি মাসিক বিজ্ঞান মাসিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার আরেকটি পরিচয় তিনি ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই। ২০০৬ সালে তাকে জনপ্রিয় বিজ্ঞান সাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয়া হয়।