গল্প পড়তে কে না ভালোবাসে? মানুষ একটু আনন্দের ছোঁয়া পেতে, একগুয়েমি কাটাতে গল্পের পাতায় মগ্ন হয়ে পড়ে। তবে গল্প শুধু বিনোদনের উৎস নয় বরং হতে পারে তা শিক্ষার মাধ্যম। সেই শিক্ষা, যার মাধ্যমে রবের সন্তুষ্টির পথে চলা সহজ হয়, হয় সুন্দর জীবন গড়ার অনন্য পাথেয়। বর্তমান সময়ে মুসলমানরা দীনের মৌলিক বিষয়াদী পালনে যত্নবান হলেও শাখাগত অনেক বিষয়েই গাফেল। তাদের ধারণা-শুধু নামায, রোযা, হজ, যাকাত এগুলো পালন করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা এমন নয়। বরং একজন মুসলমানের দীনের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র বিধি-বিধানের প্রতিও লক্ষ্য রাখা কর্তব্য। যেনো মজবুত ঈমানধারণ করে আমরা সর্বোচ্চ সওয়াবের অধিকারী হতে পারি। পাশাপাশি নিজেকে রাখতে হবে গোনাহমুক্ত। আজ সর্বত্র ঈমানবিধ্বংসী ও গোনাহের নানা উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে, স্বস্ব ঈমানকে হেফাজত করা, গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা। যেভাবে পথিক কণ্টকময় ভূমি অতিক্রমকালে স্বীয় পদদ্বয়কে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। তাই গল্পের সুসজ্জিত পোশাকে ইসলামের মৌলিক বিধানাবলি পালনের সাথে সাথে শাখাগত বিধি-বিধান পালনের উপকারিতা ও গোনাহের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। যাতে মানুষ যাপিত জীবনে ইসলামের হুকুম-আহকাম পালনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং গোনাহ ছেড়ে পুনরায় ফিরে আসতে পারে রহমতের শীতল ছায়ায়।