বিক্রমপুরের নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে হাজার বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে। শহর নয়, গুপ্তধনের সন্ধানে একদল সংঘবদ্ধ দস্যু এই গ্রামে চলে এলো।
চোরমর্দন গ্রামের শেষ চোর, চুরিবিদ্যায় চরমভাবে ব্যর্থ মধুর ভাগ্য যেন বদলে যাওয়ার সুযোগ এলো দস্যুদের সান্নিধ্যে। ইন্টারপোলের গোয়েন্দা পরিচয়ে রাশা মামা আবদুল্লাহপুর গ্রামের একটি কিশোর গ্রুপকে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেললেন দস্যুদের প্রতিরোধ করবেন বলে। রাশা মামা হচ্ছে চলন্ত এক উইকিপিডিয়া ! যে কোনো প্রসঙ্গে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে পারেন।
টঙ্গিবাড়ি থানার দারোগা হাতেম আলী পর্যন্ত তার কথায় মুগ্ধ হয়ে অভিযানে নেমে পড়লেন। দস্যুদের লক্ষ্য সেন রাজাদের স্বর্ণালঙ্কারের অজস্র বাক্স হাতিয়ে নেওয়া। তারা পাতাল খুঁড়তে লাগল। রাশা মামার ধারণা, স্বর্ণালঙ্কার নয়, সেন রাজত্বের আগে বৌদ্ধদের শাসনামলের মহামূল্যবান মূর্তি খুঁজছে দস্যুরা।
ঘনিয়ে এলো অমাবশ্যার রাত, শুরু হলো দস্যুদের সঙ্গে পুলিশ ও গ্রামবাসীর লড়াই। শেষ অবধি রাশা মামা লাপাত্তা! তিনি কি ইন্টারপোলের পুলিশ ছিলেন, না-কি ছিলেন অলৌকিক আগন্তুক? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাচ্ছে না রাজন, বিপ্লব, বিকাশ,সুমন, নীরা।
দর্পণ কবীর একজন প্রেমের কবি। তার অধিকাংশ কবিতার উপজীব্য বিষয়- প্রেম। জন্ম বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহরে। ছড়া ও কবিতা লেখা দিয়ে সাহিত্যচর্চার শুরু। এরপর গল্প, উপন্যাস ও গান লিখে চলেছেন। ১৯৯১ সালে তার প্রথম ছড়ার বই ‘ধপাস’ প্রকাশিত হয়। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কষ্টের ধারাপাত’ প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে। এরপর ক্রমান্বয়ে কাব্যগ্রন্থ ‘আকাশ আয়না’ (২০১২), ‘বসন্ত নয় অবহেলা’ (২০১৬), ‘গল্পটার নাম নেই’ (২০২০), ‘আশ্চর্য দুঃখগুলো কষ্ট হয়নি’ (২০২২) প্রকাশিত হয়। দর্পণ কবীরের দশটি উপন্যাস, একটি কিশোর উপন্যাসসহ কিশোর গল্প এবং রোমান্টিক গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে দর্পণ কবীর সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করছেন। পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক।