২০২০ সালে মার্চ মাসে করোনা পরিস্থী’তির কারণে সারাদেশে লক-ডাউন ঘোষণা করা হলে অবসর কাটানোর মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে পূরোণো অভ্যাস টাকে ঝালাই করে নিলাম। লেখালেখি শুরু করলাম। কবিতা, গান লিখে সহধর্মিণী কে দেখাতাম। বলতো খুব ভালো হয়েছে। গান গাইতে জানি না তাও লিখতাম। সহধর্মিণী গান গাইতে জানে। সে গান দেখে বলতো, “হ্যাঁ, ঠিক হয়েছে”।
এতে আমার উৎসাহ দ্বিগুণ বেড়ে যেতো।একমাত্র ছেলেকে দেখাতাম। ছেলেও আমার লেখার প্রসংশা করত।আর যায় কোথায়। লেখা ফেইসবুকে পোস্ট করলাম। লাইক কমেন্ট পাওয়া শুরু। লোভ বেড়ে গেলো। আমেরিকার মিসিগানে বসবাসরত খ্যাতনামা ডাক্তার, কবি, দার্শনিক ও লেখক শ্রী দেবাশীষ মৃধা দাদাকে একটা কবিতা পাঠালাম। বললেন খুব সুন্দর হয়েছে।
উৎসাহ আর ধরে না। প্রতি সপ্তাহে ফেইসবুকে কবিতা পোস্ট করতে শুরু করলাম। কোলকাতায় বসবাস রত আমার ছোট মামা শ্রী সুনীল মিস্ত্রী আমার প্রতিটি কবিতার ভূয়সী প্রশংসা করতেন।আমার প্রয়াত দাদুর বন্ধু সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্রী দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস দাদুও আমার প্রতিটি কবিতার স্বস্নেহে প্রসংশা করতেন। সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্রী বীজন মৃধা দাদাও আমার লেখার প্রসংশা করে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। নিজাম কাকা (অবঃ সৈনিক এবং বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী) প্রতিটি কবিতার প্রসংশা করে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। মোড়েলগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শ্রীমতী স্মৃতি কনা চৌধুরী (মাসিমা) বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন মোড়েলগঞ্জ সেতারা আব্বাস মহিলা কলেজের অধ্যাপিকা, কবি ও লেখিকা শ্রীমতি শ্বাস্বতি পাল প্রতিটি কবিতা ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার পরপরই।
সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কবি জনাব জেড আই মোস্তফা, বিশিষ্ট কবি জালাল উদ্দীন আমাকে একাধিক বার উদ্বুদ্ধ করেছেন। বিশেষ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন মাসকট ইনোভেটিভ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম সুমন (সুমন স্যার)। এছাড়া দেশের, বিদেশের চেনা অচেনা অনেক আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী অনেকেই আমাকে নিয়মিত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। সকলের কাছেই আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।
যাঁর পরামর্শ এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া বই প্রকাশ সম্ভব হতোনা তিনি হলেন স্বপ্তর্ষি প্রকাশনার প্রকাশক শিবু ওঝা। তাঁকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানা”িছ।
সর্বশেষ পরম করুনাময়ের কাছে প্রার্থনা “অনির্বাণ” এর জয় হোক।