সময় অদৃশ হলেও মানুষের জীবন কিছুটা দৃশ্যময়, কিছুটা ছায়াময়, বাকিটা স্মৃতিময়। স্মৃতি কখনো বেদনাময়, কখনো মধুময়। সময় ক্রমাগত তার সমান্তরাল গতিতে চলতেই থাকে। এ গতিতে হারিয়ে যায় ক্ষুদ্র জীবনের কত স্মৃতি! তাই শোক এবং সুখ দুটোই স্মৃতির সম্পদ হলেও কোনটাই নিরবচ্ছিন্ন নয়, চিরস্থায়ীও নয়। অবিমিশ্র শোকে-সুখে জীবন চলে যায় সময়ের অন্তরালে। যেমন নাটকে কতকিছুই হারিয়ে যায় পর্দার অন্তরালে। ‘সময়ের অন্তরালে’ কাব্যগ্রন্থটিতে সমাজ সংসারে নরনারীর চিরন্তন ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে আনন্দ বেদনার কথা। আশা-নিরাশায় জীবন যে কতখানি দোদুল্যমান হয়ে ওঠতে পারে, তার ইঙ্গিতও পাওয়া যাবে কাব্যগ্রন্থটিতে। সময়ের অন্তরালে একদিন আমি হারিয়ে যাব, একদিন তুমি হারিয়ে যাবে, কিন্তু কীর্তিকাঞ্চন কখনো হারিয়ে যাবে না। কীর্তিই মানুষকে অনন্তকাল বাঁচিয়ে রাখে।
পারিপার্শ্বিকের পরিমÐল থেকে আমার মনে সময় সময় যেসব বিশেষ বিচিত্র বোধের উদয় হয়েছে, সেগুলোই ‘সময়ের অন্তরালে’ কাব্যগ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে।
পরিশেষে বইটি প্রকাশে যে ব্যক্তি বলিষ্ঠ উদ্যোগী ভ‚মিকা নিয়েছে তার নামটি আমি আন্তরিকভাবে উচ্চারণ করছি-শিবু চন্দ্র ওঝা। আমার প্রতি পিতৃসুলভ শ্রদ্ধা রেখে এ বেকার অথচ উদারমনা ও উদ্যেমী তরুণটি আমাকে অপরিসীম ভালোবাসা ঋণে আবদ্ধ করে রাখলো।
বন্ধু মহলের প্রতি হৃদয়ের উষ্ণ ভালোবাসাসহ সমস্ত সুধীমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। শুভেচ্ছান্তে গৌরাঙ্গ দাশ