টোকিয়োর এক বৃষ্টিভেজা রাতে এই বইয়ের সূত্রপাত হয়, যখন লেখকদ্বয় প্রথমবার শহরের একটি ছোটো বারে একসাথে বসে ছিলেন।
আমরা একে অপরের লেখা অনেকবার পড়েছি। কিন্তু জাপানের রাজধানী থেকে বার্সেলোনা হাজার হাজার মাইল দূরে হওয়ায় কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি। তারপর পরস্পরের পরিচিতি একজন বন্ধু আমাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে একটি বন্ধুত্বের সূচনা ঘটান, যা এই প্রকল্পের দিকে পরিচালিত হয় এবং মনে হয় এটি আজীবন স্থায়ী হবে।
এক বছর পরে যখন আবার একত্র হয়েছিলাম, তখন আমরা টোকিয়োর শহরতলিতে একটি পার্কের মধ্য দিয়া হাঁটতে হাঁটতে পশ্চিমা মনোবিজ্ঞানের প্রবণতাগুলো, বিশেষত, লোগোথেরাপির বিষয়ে কথা বলেছি, যা মানুষকে জীবনের উদ্দেশ্যে খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
আমরা মন্তব্য করেছিলাম, ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কলের লোগোথেরাপি এখন আর তেমন সচল নেই। যদিও অনেক মানুষ এখনও তারা কী করছে এবং কীভাবে জীবনযাপন করে- তার মাঝে জীবনের অর্থ অনুসন্ধান করে। আমরা নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করি; আমার জীবনের অর্থ কী? কেবল দীর্ঘকাল বেঁচে থাকাই কি জীবনের উদ্দেশ্য, নাকি আমার আরও উচ্চতর উদ্দেশ্যের সন্ধান করা উচিত? কিন্তু লোক কেন জানে তারা ঠিক কী চায় এবং জীবনের প্রতি অনুরক্ত হয়, আর অন্যরা কেন বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত হয়? আমাদের কথোপকথনের এক পযায়ে, রহস্যময় শব্দ ‘ইকিগাই’ উঠে এলো।