‘জানেন বাবু, আমাদের গ্রামে না একটা জ্বীনের কবর আছে।' ‘কীসের কবর?’ ‘জ্বীনের কবর। জ্বীন।' ‘কী যে বলেন চাচা! জ্বীনেদেরকে আবার কবর দেয় নাকি?? ‘তা জানি না বাবু। তবে, আমাদের গ্রামে একটা আছে। অনেক আগে গ্রামে একজন বড় পীর সাহেব ছিলেন। উনার একটা পোষা জ্বীন ছিল। আগেকার মানুষজন অনেকেই ওই জ্বীনকে দেখেছে। আমার দাদাও নাকি ছোটবেলায় নিজ চোখে দেখেছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম, দাদার কাছ থেকে জ্বীনের অনেক গল্প শুনেছি।' ‘তাই নাকি? ইন্টারেস্টিং! ‘হ্যাঁ বাবু, এই জ্বীনকে নিয়ে অনেক গল্প আছে। পরে জ্বীনটা মারা গেলে, তাকে নিজ বাড়ির পেছনেই কবর দেন পীর সাহেব। ওই আমলেই সুন্দর করে বাঁধিয়েছিলেন কবরটা। সেখানেই তাদের পারিবারিক কবরস্থান।'
‘ওহ্! এটা কত আগের ঘটনা?’ ‘এসব অনেক আগের কথা বাবু। প্রায় দেড়শ বছর হবে। অতঃপর জ্বীনের কবর দেখতে গ্রামে যায় এক যুবক। সেই কবরের ইতিহাস জানার অধীর আগ্রহের ফলে মুখোমুখি হতে হয় নানান অপ্রীতিকর মুহুর্তের। পরিচিত হতে হয় রাশভারি পীর সাহেব, রহস্যময় পৌঢ় তান্ত্রিক, প্রাচীন কালী মন্দির, ভয়ংকর জোড়া সাপ ও আরও কত কিছুর সাথে!
শহুরে এই যুবক কি পারবে দেড়শ বছর আগের জ্বীনের কবরের রহস্য উদ্ঘাটন করতে? এই অভিযানের সঙ্গী হতে চাইলে বইটি পড়তে পারেন।
মোহাম্মদ মারুফ হাসান একজন স্থপতি। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে সৃজসশীল কাজ ও গৃহ পরিকল্পনা/নকশায় সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে বন্ধুদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উপভোগ করেন। ব্যাক্তি জীবনে অত্যন্ত বন্ধুবৎসল ও প্রিয়মুখ।