সাম্প্রতিককালে অটিসম স্থান-কাল-পাত্রে আর কোনো ভেদাভেদ রাখেনি। সর্বত্রই এর আধিক্য চোখে পড়ছে। নর্থ আমেরিকায় এখন প্রতি পাঁচজনে একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছে, অটিসমসংক্রান্ত কিংবা অটিসমের থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলো তার মধ্যে অগ্রণী। আজকাল দেখা যায়, আমাদের এশিয়ান অসংখ্য পরিবারে অটিস্টিক বাচ্চাদের নিয়ে বিব্রত তাদের পরিবার ও কেয়ারগিভাররা। এতে বিব্রত না হয়ে, সময় এসেছে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে, তাদের যথাযথ থেরাপির ব্যবস্থা করে, তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া। আর সেই কারণেই এই বইটি লেখা শুরু করেছিলাম। এই ফিল্ডে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, যথাযথ গাইড্যান্স আর থেরাপি পেলে, বাচ্চা-বুড়ো প্রায় সকলেই নানা লাইফ স্কিল শিখে হতে পারেন স্বনির্ভর। শুধু আমাদের জানতে হয়, কী করে একেকটি স্কিল তাদের শেখাতে হয়। একই ধাঁচে ফেলে সবাইকে একই শিক্ষা দেওয়া যায় না। প্রতিটি মানুষই অপ্রতিম, অপ্রতিম তাদের চেহারা, স্কিল, ডেভেলপমেন্টাল লেভেল, কিংবা শেখার ধারা। আমরা (বিহেভিয়ার অ্যানালিস্টরা) বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর গবেষণার মাধ্যমে, প্রতিটি মানুষকে কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে জীবকুলকে (যেমন কুকুর, বিড়াল, পাখি, কবুতর, ইঁদুর ইত্যাদি), অথবা নানা অর্গানাইজেশনকে তাদের স্টাফ ম্যানেজমেন্টসহ নানা বিষয়ে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা কিংবা পরিবর্তন করার প্রশিক্ষণ দিই। ব্যবহার পরিবর্তনযোগ্য।