'চিঠি' দুটি বর্ণ ও কার চিহ্ন সহযোগে গঠিত একটি শব্দ। ঠিক কখন কে কাকে চিঠি লিখেছিল তার ইতিহাস জানা দুঃসাধ্য। প্রয়োজনের নিরিখে প্রিয়জন যখন দূরে অবস্থান করে তখন মানব মনের গহীনে সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার বেদনাবিধুর, অম্ল-মধুর হাজারো স্মৃতি রেখাপাত করে। বাহ্যিক দৃষ্টির আড়ালে থাকা মানুষটি তখন হয়ে ওঠে পরমারাধ্য। বর্ণের পর বর্ণের গাঁথুনিতে নির্মিত হয় শব্দের অবয়ব; শব্দের পর শব্দমালা যোজিত হয়ে প্রতিটি বাক্যে প্রকাশিত হয় মানব মনের বিচিত্র অনুভূতি। এভাবে প্রতিটি চিঠির লেখক হয়ে ওঠেন ক্লান্তিহীন শব্দশ্রমিক। সুদূরে অবস্থানরত মানুষটিও তখন প্রিয়জনের সমান্তরালে অবস্থান করে। পরানের গহীনে অনুভব করে তার প্রিয়জনের স্পর্শ। চিঠি পৃথিবীর দূরত্ব কমিয়ে প্রিয়জনকে খুব কাছে এনে দিয়েছে। কাছে আসার এ মাধ্যমটির ব্যবহার বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কমে গেলেও একেবারে রহিত হয়ে যায়নি। মানুষের মন বড়ই বিচিত্র, মানব মনের এই বিচিত্র অনুভূতি প্রকাশের সচিত্র মাধ্যম হলো চিঠি। বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির যুগে ই-মেইল, এসএমএস এর প্রচলন হলেও চিঠির আবেদন চিরন্তন। ব্যতিক্রমী ও শৈল্পিক এই কার্যক্রমে লেখক নিরলস শ্রম দিয়েছেন। "চিঠি" বইটি পাঠকের জ্ঞানভান্ডারে নব উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে এই আমার বিশ্বাস।