কবিতা যাপন ক’জন পারে? ক’জন আর পারে প্রাচীর ভাঙার গান গাইতে। কবিতা নিয়ে নানাবিধ মত, পথ তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। এটাই স্বাভাবিক। শব্দের ছান্দসিক বিন্যাসই কী কবিতা নাকি উপমা, উৎপ্রেক্ষা, বিষয়বৈভব, ভাবসম্পদ ও দর্শনের যথাযথ সমন্বয় কবিতা? আরো বিবিধ প্রশ্ন যখন আমাদের জর্জরিত করে তখন কিছু কবিতা আমাদের স্নায়ু শিথিল করে। মনোজগতে একটা বার্তা পৌঁছে দেয়। যুগ থেকে যুগে সে আধুনিক হতে থাকে। মূলত সময়কে ধারণ করেই টিকে থাকে কবিতা। পড়ছিলাম জাকিয়া এস আরা’র কাব্যগ্রন্থ ‘একজন কেবল তালিয়া বাজায়’। পড়তে গিয়ে মনে হল তিনি কবিতাকে দেখেন অন্তর্গূঢ় স্বরের আয়না রূপে। তার কবিতায় ভক্তিবাদ রূপ নিয়েছে মানবতাবাদে। প্রকৃতি তার প্রার্থনায়, মানুষ তার পুজায়। কাজেই রোমান্টিকতাকে সাথে নিয়েই তিনি ধাবিত হয়েছেন বস্তুবাদের দিকে। আশা ও নৈরাশ্যের মাঝে সেতু বেঁধে দিয়ে নিজেই প্রশ্ন করেছেন, ‘বেঁচে থেকে কি বা হবে আর মরে গেলে কি বা হবে!’ এই দ্বিধা আর দ্বান্দ্বিকতায় মাঝখানে তার কবিতা হয়ে উঠেছে শিল্প সর্বস্ব। তার কবিতা এক ঝিম ধরা দুপুরের মত। দিনের দেয়াল ঘেঁষে যে দাঁড়িয়ে থাকে। পাঠক তারে পারে না এড়াতে। কবি জাকিয়া এস আরার কবিতা পাঠক পিয়াসা মেটাক। এটাই কাম্য। কবি ও কবিতা চিরস্থায়ী আসন গড়ে নিক কাব্যপ্রেমীদের অন্তরে। নাহিদা আশরাফী সম্পাদক - জলধি