গদ্য লেখকের চিন্তা, মনন, তত্ত্ব, যুক্তির আভাস পাওয়া যায় তার লেখা প্রবন্ধে। তা তন্ময় বা মন্ময় যে প্রকারের প্রবন্ধই হোক না কেন। কোন চিন্তাগ্রাহ্য বিষয়কে যুক্তির তীক্ষ্ণতায় পরখ করে উপযুক্ত ও সৃজনশীল শব্দ সংযোজন করা এবং পাঠকের কাছে তার শৈল্পিক উপস্থাপন খুব জরুরি। কারণ পাঠকের অনুভূতি ও সংবেদী মনোভাবের সাথে লেখকের লেখার সংযুক্তি না থাকলে প্রবন্ধ কেন কোন সাহিত্যই খুব বেশিদিন টিকে থাকে না। দিলারা মেসবাহ’র লেখা ‘ঠাকুর বাড়ির সমুজ্জ্বল নারীরা’ পাঠ শেষে এই কথাগুলোই আমার ভাবনায় অনুরনন তুলছিলো। কল্পনা শক্তি ও নিজের মেধাকে পরস্পরের পরিপূরক করতে তিনি যথাসময়ে লাগাম টেনে ধরেছেন। এই ধরতে পারাটাই লেখকের মুন্সিয়ানা। লেখক দিলারা মেসবাহ’র লেখার সাথে আমার মতো অনেকেই পরিচিত। তার গল্প ও ছড়ার মত গদ্যও বেশ ঝরঝরে। মোট বারোটি প্রবন্ধ নিয়ে এই প্রবন্ধ গ্রন্থটি। গদ্যের পাশাপাশি বেশ কিছু বই আলোচনাও রয়েছে। সবশেষে রয়েছে একটি স্মৃতিচারণ। নিজের বাবার প্রতি আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা প্রকাশেও তার অত্যুক্তি ঘটেনি। অন্যান্য প্রবন্ধগুলিও যথেষ্ট হৃদয়গ্রাহী। আশা করি পাঠক এই প্রবন্ধগ্রন্থটি সাদরে গ্রহণ করবে। বোদ্ধা মহলে গ্রন্থটি আদরনীয় হোক, এটিই প্রত্যাশা। নাহিদা আশরাফী সম্পাদক - জলধি