আমাদের নিজেদের হার্ট সার্চ করতে হবে, একইসাথে নিজেদের কোশ্চেন করতে হবে। এই প্রসেসে ব্যথা আছে, দুঃখ আছে, কনফ্লিক্ট আছে কিন্তু কোন ভয় নাই। এখন পৃথিবী এই দুঃখ-বেদনার যন্ত্রণার ভিতর দিয়া একটা মহান সমাধানের জন্ম দিতেছে। আমি আপনাদের কাছে স্বীকার করতে চাই- সেই সমাধান কী হবে তার ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। মানবজাতির ভাগ্য অস্ত্রের সংখ্যা দিয়া নির্ধারণ হবে না। …আমরা যে স্পিরিট, কোনরকম পশু না তা নতুন কইরা শিখি। আর এই স্পেস এবং টাইমে কিংবা এর বাইরে কিছু একটা সবসময় আছে, চলতেছে তা আমরা পছন্দ করি আর নাই-ই করি সবসময় জানান দেয় আমাদের কিছু ডিউটি আছে যেগুলার বাইরে আমরা কখনো যাইতে পারি না। আমাদের সামনে এক নতুন গল্প তৈরি হইতেছে। এই গল্প কীভাবে শেষ হবে তা আমরা জানি না। কিন্তু এই আটলান্টিক সাগরের এই পারে ওই পারে থেকে আমরা সবাই একটা জিনিস ফিল করতে পারি। আমি আবার রিপিট করতেছি- আমরা এই গল্পের অংশ। আমাদের ভবিষ্যত ও এরপরের অসংখ্য প্রজন্ম নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। আমরা নিশ্চিত এখন আমরা যেই পদক্ষেপই নিব না কেন, যেই কাজ ধরেই সামনে আগাব না কেন আমাদের উপর নির্ভর করতেছে সামনের হিউম্যান সোসাইটির চরিত্র কেমন হইতে যাইতেছে। আমাদের সামনে এত বড় দায়িত্ব যে আছে তা স্বীকার না করে বিলাপ করলে চলবে না। এখন কি আমরা চাই এই ট্র্যাজেডি আবার আমাদের সামনে কোনভাবে রিপিট করুক? কখনোই না। গল্পের শেষ এখানে না। আকাশের সকল নক্ষত্র মানবজাতির মুক্ত হওয়ার কথা জানান দিতেছে। এত সহজে মানুষের প্রগ্রেসের ইতিহাস বন্ধ হবে না। এত সহজের ফ্রিডমের আলো নিভা যাবে না। কিন্তু সময় অনেক কম। যত মাস যাইতেছে তত আমাদের জার্নি লম্বা হইতেছে, আমাদের বিপদও শেষ হইতেছে না। কিন্তু এইসকল বিপদ আমাদের পার করতে হবে। আমরা যদি এক হই, তাহলেই আমরা এই বিপদে লড়াই করতে পারব। আর যদি একে অপরের থেকে আলাদা থাকি, বিচ্ছিন্ন থাকি- আমাদের পতন হবেই আর অন্ধকার যুগের রিটার্ন ঘটবে। এক হইয়া আমরা গাইড দিতে পারি এই পৃথিবীকে; তারে রক্ষা করতে পারি সেই অন্ধকার যুগের পতন থেইকা।