সিলেটের মুরারীচাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ নামে যা সবার কাছে পরিচিত) সত্যিকার অর্থেই এক ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ১৮৯২ সালে এর গোড়াপত্তন, এর আগে আর মাত্র ৬টি কলেজ বর্তমান বাংলাদেশের ভৌগোলিক এলাকায় স্থাপিত হয়। তবে শুধু সময়-বিবেচনায় নয়, মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে, সিলেট অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে এবং শিক্ষার্থীদের রাজনীতি এবং অধিকারসচেতন করার পেছনে এর ছিল বিশাল অবদান। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের ঠিক আগে তৎকালীন সিলেট জেলা ভারত না পাকিস্তানের অংশ হবে তা নিয়ে যে গণভোট হয়, তা সফল করার পেছনে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এরপর বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন থেকে নিয়ে যতগুলি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন হয়, তাতে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে এম সি কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নেন, স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের নানা উদ্যোগে সক্রিয় হন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও পেশাগত নানা ক্ষেত্রে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদান রাখার জন্য এদের অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হন। এই ঐতিহ্যটি এমসি কলেজ এখনও ধরে রেখেছে। সিলেট শহরে এখন পাবলিক-প্রাইভেট মিলিয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে,