ট্রু রোম্যান্স সম্ভবত আমার সবচাইতে পার্সোনাল স্ক্রিপ্ট। যেই টাইমে এইটা লিখসিলাম, তখন ক্ল্যারেন্সের ক্যারেক্টারটা আসলে আমিই ছিলাম। সে একটা কমিক বুকশপে কাজ করতো–আমি কাজ করতাম ভিডিও স্টোরে। যখন আমার ওই টাইমের ফ্রেন্ডরা ট্রু রোম্যান্স দেখতে বসে, তখন তারা খুব গ্লুমি হইয়া পড়ে। কারণ এই সিনেমাটা আমাদের জীবনের একটা সার্টেইন সময়রে ফিরাইয়া আনে। আমি যখন প্রথম মুভিটা দেখলাম তখন খুবই আজব লাগতেসিলো, মনে হইতেসিলো আমার হোম মুভিগুলার বা মেমরিগুলারই একটা বিগ বাজেট ভার্শন দেখতেসিলাম। এই মুভিটা যেমনে হইসে আমি তেমনেই চাইসিলাম, মানে আমি টোনি স্কটের চোখ দিয়া আমার নিজের দুনিয়াটা দেখতে চাইসিলাম। আগেও বলসি, ডিরেক্টর হিসেবে আমি টোনি স্কটের অনেক বড় একটা ফ্যান আর আমি হয়তো তার করার জন্য আর কোনোকিছু কখনোই লিখবো না। তো ট্রু রোম্যান্সই ছিল আমার একমাত্র চান্স। মজার ব্যাপার হইলো, আমাদের এস্থেটিক্স অনেক মিলে। টোনি বারবার কিছু ডার্ক জিনিসপাতি করতে যায় আর স্টুডিওতে ঠোকর খাইয়া তার কাজের রাফ এজগুলা বারবার স্মুদ করতে থাকে।...
ভায়োলেন্সরে আমি অত সিরিয়াসলি নেই না। আমার কাছে ভায়োলেন্স খুবই ফানি লাগে, এস্পেশালি রিসেন্টলি আমি যেইসব স্টোরি বলতেসি ওগুলায়। ভায়োলেন্স দুনিয়ার একটা পার্ট আর রিয়াল লাইফের ভায়োলেন্সের ভয়াবহতা আমারে টানে। হেলিকপ্টার হইতে কাউরে ট্রেনের তলে ফালায়া দেয়া বা কোনো এ্যারোপ্লেন হাইজ্যাক করা এইসব কিছু না। রিয়াল লাইফ ভায়োলেন্স হইসে, একটা রেস্টুরেন্টে এক ব্যাটা আর তার বউ ঝগড়া করতেসে আর একসময় ব্যাটার এতই রাগ উঠে যে সে একটা কাটাচামচ নিয়া বউয়ের মুখে ঢুকায়া দেয়। এইটা খুবই পাগলা আর কমিক-বুকমার্কা একটা জিনিস–কিন্তু এমনও হয়। রিয়াল ভায়োলেন্স এমনেই চিল্লাইতে চিল্লাইতে আর লাত্থাইতে লাত্থাইতে আসে। আমার আগ্রহ একটা এ্যাক্ট নিয়া, এক্সপ্লোশন, আর তার আফটারম্যাথ। এরপরে আমরা কি করবো? যেই ব্যাটা বউয়ের মুখে কাটাচামচ ঢুকায়া দিসে তারে কি পিটাব? তাদের আলাদা কইরা দিব? পুলিশ ডাকবো? নাকি ম্যানেজারের কাছে টাকা ফেরত চাবো কারণ আমাদের খাওয়াটাই নষ্ট হইয়া গেসে। এইসব প্রশ্ন নিয়াই আমার ইন্টেরেস্ট।...
দুনিয়ায় অনেক ফালতু স্ক্রিনপ্লে লেখা হইতেসে, তো আপনি যদি একটা ভালো স্ক্রিনপ্লে লেখেন, তাইলে অনেকেই তাতে রেসপন্ড করবে। কিন্তু আপনি জাস্ট নতুন শুরু করতেসেন এমন যদি হয়, তাইলে আপনার কাজ এপ্রিশিয়েট করার মত লোকের কাছে পৌঁছাইতে অনেক সময় লাইগা যাইতে পারে। আপনার স্ক্রিনপ্লে বারবার ছুঁইড়া ফালায়া দিবে রিডাররা। কিন্তু তারপরও লাইগা থাকলে আপনি একসময় এইসব রিডারদের পার হইয়া তাদের কাছে পৌঁছাইতে পারবেন যারা ফালতু স্ক্রিনপ্লে পড়তে পড়তে বোর হইয়া গেসে, তারা একচুয়ালি নতুনকিছু খুঁজতেসে। আমি যখন শুরু করলাম তখন আমিও এই প্যারাটা খাইসিলাম–আমি সব ডিফারেন্টলি লিখতেসিলাম, আর ওই রিডার মেন্টালিটির লোকজনের কাছে কোনোকিছু ডিফেরেন্টলি করা মানেই ভুলভাবে করা।