নিলয় দাশ প্রিয় নিলয় দা। বাংলাদেশের এক গিটার জাদুকর। যিনি আমাদের ছেড়ে অনেক বছর আগেই চির-অজানায় চলে গেছেন। শুধু রেখে গেছেন তার গিটারের যুগান্তকারী কিছু কাজ আর তার নীল কণ্ঠের মোহনীয়তা। আশির দশকে নিও ক্লাসিক্যাল, ফ্ল্যামেনকো, জ্যাজ, ব্লুজ এবং রক ধারার বাংলা সংগীতে তিনি এমন কিছু সুরের সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন, যা সে সময়ে এক বিস্ময়! সবার প্রিয় নিলয় দা ছিলেন গিটারিস্টদেরও গিটারিস্ট। পরবর্তী সময়ে দেশের খ্যাতনামা অনেক গিটারিস্টের তিনি ছিলেন সংগীত গুরু। অনেকে তার কাছ থেকে শিখে ও দেখে গিটারে সিদ্ধহস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু নিলয় দা ছিলেন নিভৃতচারী এক মানুষ। প্রচারবিমুখ। সংগীত জগতে সমাদৃত হলেও অনেক প্রজন্মই তাকে জেনে উঠতে পারেনি। আমাদের সংগীতের এই ‘আনসাং হিরো’ নিলয় দা-কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে, তাকে আরেকটু জানতেই এ বইয়ের প্রয়াস। দেশের খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী, সংগীত-পরিচালক, কম্পোজার, গিটারিস্ট, মিউজিশিয়ান যারা নিলয় দাশের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছিলেন, মিউজিক করেছিলেন, তাদের অনেকেই প্রিয় নিলয় দাশকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন বইয়ে। সন্নিবেশিত হয়েছে নিলয় দাশের দুটি সাক্ষাৎকার। আরও আছে নিলয় দাশের জীবনী, কিছু ক্যামেরাবন্দি হওয়া মুহূর্ত, প্রকাশিত অ্যালবামের ছবি ও ডিসকোগ্রাফি। আমাদের এই প্রয়াস যদি আজকের প্রজন্মে সামান্য হলেও ছড়িয়ে যায়, তবেই চেষ্টা সার্থক।
মিলু আমান। জন্ম ঢাকায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪। বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, মা ফার্মাসিস্ট। সাত ভাইবোনের মধ্যে লেখক সর্বকনিষ্ঠ। লেখালিখির হাতেখড়ি নব্বই দশকের মিউজিক ম্যাগাজিনের মাধ্যমে। বিভিন্ন সময়ে লিখেছেন দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। পেশা হিসেবেও লেখালিখিই বেছে নেন, কপিরাইটার হিসেবে কাজ করেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। সংগীতের নেশা কখনো ছাড়তে পারেননি, তাই কাজ করেন এফএম রেডিওতেও। মিলু আমান তার লেখায় সংগীতের বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য দিয়ে থাকেন । ২০১৭ সালের বইমেলায় লেখকের প্রথম বই ‘রক যাত্রা’ প্রকাশিত হয়। লেখকের দ্বিতীয় বই ‘গানের মিলন’ প্রকাশিত হয় পরবর্তী বছর। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘ফ্লয়েডিয়ান’। দেশের ব্যান্ড ইতিহাস নিয়ে ২০২২ সালে লেখক হক ফারুকের সাথে প্রকাশ করেন ‘বাংলার রক মেটাল' ।