চোখের পলকে বদলে যাচ্ছে গণমাধ্যম। ঘরের শোভা বর্ধণকারী, সম্মানরক্ষক, জরুরি তথ্যের যোগানদাতা বেতারযন্ত্র, দূরদর্শণ বাক্স এবং কড়কড়ে পত্রিকাটি জড়াজড়ি করে ঢুকে পড়লো তালুফোনে। কমলালেবুর এমন কোনো তথ্য, বিনোদন এমনকি রহস্য বাকি নেই, যা আঙুলের স্পর্শেই 'তাজা' হয়ে উঠছে না। কিছু কিছু তথ্য আছে, আমোদ আছে নিতে চাই না। তবুও চোখে, কানে ঢুকে পড়ছে। অন্যের ভরসায় বসে থাকারই বা প্রয়োজন কী? নিজেই এখন তৈরি করে নিতে পারি ইচ্ছে খুশি আধেয় বা কনটেন্ট। আমিই নির্মাতা, আমিই সরবরাহকারী। পুরাতন বেশ ভালো। কোন বিরোধে যায়নি। নতুনে সহজে মিলে গেছে। একে নিরুপায় সমর্পণও বলা যায়। কারণ গণমাধ্যম যাদের তরে নিবেদিত, তারাও রুচি বদলে ফেলেছে। পুরাতন জিভে রোচে না। নতুন, পুরাতনে মিলে তৈরি হয়েছে নতুন স্বাদের এক অমৃত। সকলের উদোরে সইছে। বা সকলের পরিপাকতন্ত্রে সহায়ক হচ্ছে, এর তৈরি প্রণালী তা বলা যাবে না। ময়রা যখন ঘরে ঘরে পাঁকে বৈচিত্র থাকবে। একটু আধটু মিশেল থাকবেই। আবার সবার জিভের স্বাদওতো এক চামচে গিয়ে ঠেকেনি। অতএব আন্তর্জালের আশ্চর্য এই অমৃত নিয়ে পস্তানো, না পস্তানোর আফসোসের মাঝেই গণমাধ্যমের রূপান্তরকে কবুল করেই নিতে হচ্ছে। বাকি দিনগুলো বোঝাপড়ার কাল।
Tushar Abdullah অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে পথে নামা দশম শ্রেণীতে পড়তেই। সাংবাদিকতা তো অ্যাডভেঞ্চারই, তাই না? প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। ভেসে থাকা মিথ্যে থেকে আড়ালের সত্য বের করে নিয়ে আসতে হয়। এই রহস্য অভিযান চলছে পচিশ বছর। পত্রিকায় আট বছর কাটিয়ে টেলিভিশনে কাজ শুরু ১৯৯৯-তে। একুশে টেলিভিশনের মাধ্যমে টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু। তারপর এটিএন বাংলা, আরটিভি, সিএসবি নিউজ, দেশ টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন হয়ে সময় টেলিভিশন। নিজের আনন্দের জায়গা এখনো লেখালেখিতেই। ছোটদের নিয়েই প্রথম বই তোমাদের প্ৰিয়জন । তারপর লেখা হয়েছে- বাংলাদেশের পথে পথে, গাছ বন্ধু, ফুল বন্ধু, চল যাই নদীর দেশে, ভূত অদ্ভুত, চল বড় হই, তোমরা সুন্দর হও, ১৯৭১ গল্প নয়। সত্যি, গল্প বড় টেলিভিশন। শিশু-কিশোরদের আন্দোলন "কৈশোর তারুণ্যের বই নিয়ে এখনকার ছুটে চলা। এছাড়া নাটক, সিনেমার পাণ্ডুলিপি লেখা হচ্ছে। চলছে। নিয়মিত কলাম লেখা এবং সময় সংলাপ নামে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা।