তার গদ্যের ভাষা কবিতার মতন মিষ্টি, মোলায়েম। অক্ষরগুলো কথা বলে। শব্দ, বাক্য মানুষের ব্যথা টের পায়। গল্প লিখতে লিখতে সালমা জাহান সনিয়া একদিন কবিতার কাছে হাত পাতে। ভেতরের কথা সব ছন্দে, গন্ধে ফুল হয়ে ফুটুক। কবিতার বাগানে কখনো হাস্নাহেনা, কখনো সন্ধ্যাবকুল ফোটায় সে। মুগ্ধ হয়ে তার লেখা পড়ি। লক্ষীপুরে জন্ম হলেও এখন ঢাকার কোলাহলে বেড়ে উঠতে উঠতে কবিতা বুনছে সে। ইডেন মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এই কবি হিসেব নিকেশে যেমন পটু তেমনি কবিতার অলিগলিও তার অচেনা নয় বোঝা যায়। ‘তবুও আমার গায়ে লেপ্টে থাকা ঘ্রাণে, কতকাল খুঁজে দেখোনি আঁখিযুগল...।’ কবিতায় তার এমন আকুতি বিষাদ জন্মায় মনে। তার দুঃখ, কষ্ট, হাসি একসময়ে আমাদের হয়ে ওঠে। সময় যেতে যেতে অবাক হয়ে একসময়ে টের পাই কবি আমার, আমাদের মনের কথাই বলছেন। কবিরা মন পড়তে পারে? সালমা জাহান সনিয়া’র প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নোনাজলে চাঁদের হাসি’ এবং দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘সভ্যতার শেষ স্টেশন’ টিকে থাকুক পাঠকের মাঝে এক জীবন, আজীবন। কবিতার যে ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে তা এক পৃথিবী ভালোবাসা নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাক শীঘ্রই। শুভকামনা তার জন্য। লেখক জীবন আনন্দেরহোক। কিঙ্কর আহ্সান কথাসাহিত্যিক
সালমা জাহান সনিয়া। গল্পের হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে একদিন হুট করেই কবিতায় চলে আসা।মানুষ সহজে কবিতা ছেড়ে গল্পে যেতে পারে। কিন্তু হুট করেই কবিতায় আসতে পারে না।হঠাৎ কবিতায় এসে এখন কবিতাই তার সব। বাকি জীবন কবিতার হাত ধরে হেঁটে যেতে চাওয়ার প্রবল ইচ্ছে মনে পুষে আছেন। 'কবিরা সুখ সহ্য করতে পারে না,সুখের ছোঁয়া পেলে তার কবিত্ব থাকে না।' বিষাদ মাখা কবিতা জুড়ে থেকে যাক তার পদচিহ্ন। সালমা জাহান সনিয়ার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সমূহ, 'নোনাজলে চাঁদের হাসি ' 'সভ্যতার শেষ স্টেশন'