পাবলিশার’স নোট কামিনী রায়ের (১৮৬৪ - ১৯৩৩) ফার্স্ট কবিতার বই “আলো ও ছায়া” ছাপা হয় ১৮৮৯ সালে। এরপরে আরো ৮/১০টা কবিতার বই ছাপা হয় উনার। এই বইয়ের কবিতাগুলা উনার “আলো ও ছায়া”র চাইর নাম্বার এডিশন (বাংলা ১৩১১) এবং “কামিনী রায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা” (ইংরেজি ২০০১) বই থিকা বাছাই করা হইছে। কামিনী রায়ের জন্ম বাকেরগঞ্জের (এখনকার ঝালকাঠি জেলার) বাসন্ডা গ্রামে। উনি পড়াশোনা করছেন কলকাতার বেথুন কলেজে। অই কলেজের (শুরুতে স্কুলের, পরে কলেজের) টিচার ছিলেন। “ছন্দ-সুর-নিখুঁতমিল”র বাইরেও “সুখ-দুঃখ, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, আশা-আকাঙ্খা, গভীর আনন্দ ও তীব্র বেদনার” “সহজ-সবল” কবিতার যেই জায়গা আছে, সেইখানে কন্ট্রিবিউশন আছে কামিনী রায়ের কবিতার। উনার এক্সপ্লোরেশনের জায়গাগুলারে একটা সময়ের ঘটনা হিসাবে না দেখার কারণে অন্য কবিদের “প্রভাবে” লেখা বইলা মিস-রিড করার ট্রাডিশন বাংলা-সাহিত্যে চালু আছে। কিন্তু সময়ের হিসাবে দেখতে পারলে বাংলা-কবিতাতে উনার কন্ট্রিবিউশনের জায়গাগুলারে আরো স্পষ্টভাবে দেখতে পাবো আমরা। কামিনী রায়ের কিছু কবিতার অংশ মোরাল-সেস্টমেন্ট হিসাবে স্কুল-পাঠ্য বইগুলাতে অনেকদিন ধইরা চালু আছে। বাংলা-কবিতার হিস্ট্রিতে একজন ‘মহিলা-কবি’ হিসাবে না, বরং ‘কবি’ হিসাবে উনার এক্সপ্লোরেশনের জায়গাগুলারে খেয়াল করতে পারবেন রিডার’রা এই কবিতাগুলাতে। এই এক্সপেক্টশন থেকে আমরা লেখাগুলা ছাপাইতেছি।