থ্রিলার আগুন চোখের মেয়ে এবং আমার যত ভাবনা ফরেনসিক ল্যাবের রিপোর্ট অনুযায়ী রাঘব এবং আফজাল চৌধুরীর মাথার ঠিক মাঝখানে বিন্দুর মতো একটা ছিদ্র পাওয়া যায়। তাঁদেরকে খুন করার পূর্বে খুনি এই ছিদ্র দিয়েই মাথার মগজ বের করে গিলে খায়। ‘আগুন চোখের মেয়ে’ একটি লোমহর্ষক থ্রিলার। রহস্যের পর রহস্য নিয়ে এগিয়ে চলে ‘আগুন চোখের মেয়ে।’এর প্রধান চরিত্র পনেরো বছরের মেয়ে মৌরী। মৌরীর বাবা করিম শেখ্কে ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীর নির্দেশে খুন করা হয়। করিম শেখকে খুন করার পর আফজাল চৌধুরী থানার ওসি আকরাম চৌধুরীর মাধ্যমে খুনটাকে নিছক গাড়ি দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু করিম শেখের মৃত্যুটা নিছক একটা গাড়ি দূর্ঘটনা সেটা তাঁর স্ত্রী নুরজাহান ও মেয়ে মৌরী মানতে পারেনি। তাই তাঁরা স্মরণাপন্ন হয় করিম শেখের বন্ধু থানার ওসি আকরাম চৌধুরীর। আকরাম চৌধুরী বিষয়টা দেখবে বলে মৌরী এবং নুরজাহানকে আশ্বাস দিয়ে গোপনে হাত মিলায় ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীর সাথে। আফজাল চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেয় মৌরী এবং নুরজাহানকে খুন করার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভয়ংকর খুনি রাঘব মৌরী এবং নুরজাহানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শহর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে একটি গহিন জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়িতে। জঙ্গলের এই পরিত্যক্ত বাড়িটিকে আফজাল চৌধুরী তাঁর টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করে। যারা আফজাাল চৌধুরীর বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁদেরকে অপহরণ করে এনে এখানেই নির্মমভাবে খুন করা হয়। আফজাল চৌধুরীর নির্দেশে রাঘব নুরজাহানকেও অপহরণ করে এনে এই গহিন জঙ্গলে মৌরীর সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে । নুরজাহানকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারার পর রাঘব তার নিজ হাতে মৌরীর হাত ও পা ভেঙ্গে দেয়। ভাঙ্গা হাত ও পা নিয়ে মৌরী অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে যখন নিস্তেজ হয়ে যায় তখন মারা গিয়েছে ভেবে রাঘব ও তাঁর লোকেজন এই গহিন জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে ফেলে চলে যায়। এই জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়িতে পুরো একদিন পরে থাকার পর মৌরী অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। মৌরী বেঁচে গেলেও হাত ও পা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় ফলে হুইল চেয়ারেই হয় তাঁর ঠিকানা। এদিকে নুরজাহান খুনের ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের চৌকস অফিসার সৌমেনকে। সৌমেন তাঁর দুই সহযোগী সৌরভ ও মৌমিতাকে নিয়ে নুরজাহান ও করিম শেখের খুনিদের গ্রেফতারের অভিযানে নেমে দূর্ধর্ষ খুনি রাঘবকে গ্রেফতার করে। কিন্তু রাতের গভীরে রাঘব থানা থেকে উধাও হয়ে যায় এবং পরের দিন সকালে তাঁর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায় গহিন জঙ্গলের পরিত্যক্ত বাড়ির সেখানে, যেখানে নুরজাহানকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। রাঘবের মৃতদেহের পাশে একটি ঘড়ি পাওয়া যায় যে ঘড়িটা ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীর। তাই রাঘবের খুনের জন্য সৌমেনের সন্দেহ হয় ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীকে। আফজাল চৌধুরীকে গ্রেফতারের জন্য সৌমেন, মৌমিতা এবং সৌরভ বের হয় কিন্তু তাঁরা পৌঁছার আগেই আফজাল চৌধুরীও খুন হয়ে যায়। মৌরীর বাবা করিম শেখ এবং মা নুরজাহানকে আফজাল চৌধুরী কেন খুন করলো ? তাঁদের খুনি রাঘব কীভাবে খুন হলো ? তাছাড়া ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল চৌধুরীকে কে খুন করলো তাঁর ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়ে একের পর এক রহস্য বের হয়ে আসতে থাকে সৌমেনের সামনে। সৌমেন কী এই রহস্যের উন্মোচন করতে পারবে ? না-কি সে-ও খুন হয়ে যাবে ?
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, প্রথমেই আমি জহির খান আমার হৃদয়ের গহিন থেকে আপনাদেরকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আমি মূলত ব্যাংকার হলেও লেখালেখি আমার নেশস। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে আমি দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে আমার কর্মজীবন শুরু করি। লেখার হাতেখড়ি আমার সেই শৈশব থেকে। তখন থেকেই লেখালেখির প্রতি নেশা ছিল আর সেই নেশাটা এখন প্রথম প্রিয়ার মতো হৃদয়ের গহিনে জায়গা করে নিয়েছে। সেই নেশার সাথে আপনাদের অপরিসীম ভালোবাসা আমাকে লেখার প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তাই তো আমি সৃষ্টি করতে পেরেছি রোমাঞ্চকর উপন্যাস ' মেঘের আড়ালে মেঘ ' ডিটেকটিভ ' গোয়েন্দা রাহুল ' কিশোর উপন্যাস ' রাহুলের আদালত ' এর মতো পাঠকপ্রিয় বই। ' নতুন করে কী আর পুড়াবে আমায়, আমি তো পুড়ছি সেদিন থেকে যেদিন তোমার দীঘল কালো আউলা কেশের স্পর্শে জেগেছিল আমার সুপ্ত হৃদয় ' এটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস ' মেঘের আড়ালে মেঘ ' এর নায়ক মেঘের উক্ত। এরকম অজস্র উক্তির মাধ্যমে সাজিয়েছি ' মেঘের আড়ালে মেঘ।' আপনাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা থেকেই এবার তিনটি বই আসছে ইনশাআল্লাহ। বই তিনটির এক. রোমাঞ্চকর উপন্যাস ' একলা আকাশ' দুই. থ্রিলার ' আগুন চোখের মেয়ে' এবং তিন. শিশুতোষ ' বানরের সাথে সন্ধি।' আমার বিশ্বাস তিনটি বই এই আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধুগণ। জহির খান।