ভূমিকা মুসলিম জাগরণের শতাব্দীশ্রেষ্ঠ আলোড়ন সৃষ্টিকারী মহাকবি, যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও সুফিকবি ড. আল্লামা ইকবালের আত্মদর্শন, বাণী ও সুফি দর্শনের আলোচিত শিক্ষা শুধু একটি জাতির জন্যই দিক-নির্দেশক নয়, বরং ব্যক্তি ও পৃথিবীর সকল সভ্য মানুষের জাগরণ ও আত্মসমৃদ্ধির অপরিহার্য পাঠ। যিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর বিদগ্ধ সুফিকবি ও উপমহাদেশের অতি উজ্জ্বল এক জ্যোতিষ্ক। তাঁর মহান অবদানের ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমতের অবকাশ নেই। এই মহান কবি ও দার্শনিকের জীবন ও লেখনির যথাযথ মূল্যায়ন সম্পর্কিত বইয়ের সংখ্যা বাংলা ভাষায় খুব কম। অথচ তাঁর মহান কবিসত্তা, দার্শনিকতা ও সংস্কারকের জীবন ও বাণী থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মুসলিম ও অনগ্রসর জাতি বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি ও প্রেরণা লাভ করে। তিনি উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসিত অবহেলিত মুসলিম জাতির জাগরণ, সমৃদ্ধি ও উত্তরণকল্পে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবেও পরিচিত। আজ বিশ্বের সর্বত্র তাঁর প্রতিভা ও অবদানের স্বীকৃতি মুখরিত হচ্ছে। ইসলামী প্রত্যয়ের মধ্যে বিভিন্নকালে যেসব মতবাদ নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল-তিনি সেগুলোর যথাযথ বিচার করে যথোপযুক্ত স্থান নির্দেশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ইমাম গাজ্জালীর অনুরূপ। তবে ইসলামের আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনা ও সুফি ভাবনায় তত্ত্ব ও উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি যে মতবাদ প্রকাশ করেছেন-তাও অভিনব......
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।