ইতিহাসে রাষ্ট গজাইছে এই তো কয়েক বছর আগে, ৫/৬ হাজার বছর ধরেন, আর সমাজের বয়স অন্তত মানুষের ভাষার সমান। সমাজ বা রাষ্ট, যেইটারে লইয়াই ভাবেন, কোন একটা সমাজ বা রাষ্ট যেই ছিস্টেমেই চলুক না কেন, চোখা নজরে বিচার করলে দেখবেন, দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষের খমতা পেরায় নাই, সমাজ বা রাষ্ট্র চালায় হয়তো তাবত মানুষের বড় জোর ১ভাগ ; বাকিরা ছিস্টেমের কোন একটা পোস্টে খাড়াইয়া হুকুম তামিল করে মাত্র! এই হিসাবে একটু গলদ আছে অবশ্য; ছিস্টেম পেরায়ই কোন একজন মানুষের তুলনায় পাওয়ারফুল, তাইলে কার খমতা কতটা, সেইটা মাপার উপায় কি? এই ব্যাপারে একটা খশড়া পরস্তাব আছে আমার: ছিস্টেমকে কে কতটা এক্সপ্লয়েট করতে পারে, বা নিজের দরকারে ইউজ করতে পারে--এইটারে মিটার হিসাবে ধরতে পারি আমরা। আরেকটু ভাইঙ্গা কই, মানে দুয়েকটা নজির দেখাইতেছি: ১৮ আগস্ট ২০১৯'র বাংলা ট্রিবিউনের একটা খবরের হেডলাইন পড়েন--"খুলনা জিআরপি থানায় গণধর্ষণ: অভিযোগকারী গৃহবধূর জামিন নামঞ্জুর"। ছিস্টেম মোতাবেক থানায় রেপ হবার কথা না, হইলে সেই ব্যাপারে মামলা করতে পারার কথা, সেই নালিশ কইরা এখন দেখা যাইতেছে, জেলে যাওয়া লাগলো। এইটারে অবশ্য জেল-হাজত না কইয়া কিডন্যাপ কইলেই আরো ঠিক হয়। যাই হউক, এই ঘটনায় যারা ছিস্টেমকে এক্সপ্লয়েট করতে পারলো, তাগো খমতা বেশি আর ছিস্টেমের কাছে বিচার চাইয়া যে উল্টা দোবারা ভিকটিম হইলো, তার খমতা নাই। দেশে ছিস্টেমকে এমনে এক্সপ্লয়েট তাইলে কারা কারা করতে পারে? ডাইরেক শরকারি লোক আছে কয়েক লাখ আর শরকারি দলের কয়েক লাখ লোক, লগে কিছু পয়সাঅলা, যারা ভাড়া করতে পারে ছিস্টেমকে। এনারা তাই ছিস্টেমের কোন একটা পোস্টে খাড়াইয়া স্রেফ হুকুম তামিল করলেও খমতাবান ধরতে হইতেছে; কেননা, তারা সবাই ছিস্টেমের বদৌলতে অন্যরে জুলুম করতে পারে চাইলে, সেই মওকা তাগো দিয়া রাখছে ছিস্টেম।