তিনখানা নারীবাদ দুইখানা সিনেমা আর একখানা উপন্যাসরে ফেমিনিষ্ট এঙ্গেলে পাঠ করার এটেম্পট। এই লেখাগুলিরে ওই দুইখানা সিনেমা আর একখানা উপন্যাসের পূর্ণমাত্রিক পাঠ হিসাবে বিবেচনা করতে যাবেন না। আবার এইভাবে দেখাও অনুচিত হইবে বইলা মনে করি, যেনবা নারীবাদ নিয়া লেখার জন্য এই শিল্প প্যাকেজগুলি নিছকই অজুহাত হিসাবে ব্যবহৃত হইছে। মানে কালচারাল পলিটিকাল স্পেসে ফেমিনিজমের প্যারাডাইমটা বুঝতে এই সিনেমা আর উপন্যাসগুলি একটা সোশাল এক্সপেরিমেন্টের মত কাম করছে। তাতে এই সিনেমা আর উপন্যাসগুলিরও একটা ফেমিনিস্ট প্যারাডাইম বাইর করা গেছে। অর্থাৎ এই প্যাকেজগুলি সেরেফ বাফার হিসাবে ইউজ করি নাই; আবার যে একটা পূর্ণাঙ্গ ক্রিটিক উপস্থাপন করা হইছে তাও না। দুইটাই ট্রু। নারীবাদের আলাপ পাড়তে তিনটা ওয়েভের আলাপ চইলা আসে সব সময়। একটা ক্রোনোলজি ধইরা এই ওয়েভের আলাপটা চলে; প্রাসঙ্গিকতা ও দরকারের আলাপের চেয়েও প্রগতির প্রসঙ্গটা যেন সেইসব আলাপে প্রাধান্য পাইতে থাকে। নারীবাদী ডিসকোর্স এইরকম প্রগতিবাদী জায়গা হইতে জার্মিনেট করাটা সমস্যাজনক মনে হয় আমার কাছে। আমি এইখানে তিনটা ওয়েভের কি আলাপগুলিরে একটা সমাজবাস্তবতার ভেতরে দেখতে চাইছি, কালনিরপেক্ষভাবে। মানে, মানুষের বাইচা থাকার জায়গাটারে সেন্টারে রাখতে চাইছি; মানুষের প্রগতি বা অগ্রগতির তুলনায়। সময় ততটুকুই, যতটুকু মানুষ বাইচা থাকে। তাই কোনটার পরে কোনটা আসল, ইডিওলজিকাল চরিত্র উদঘাটনে তা অদরকারি মনে হয়। অর্থাৎ এপ্রোচে সামান্য পলিটিকাল থাকতে চাইলাম; পারম্পরিক থাকার বদলে।