ইংরেজি লেখার বেলায় আমরা ট্রেডিশন নিয়া খুব কমই আলাপ করি। কখনো যদি ট্রেডিশনের কথা তুলিও, তা হয় মেইনলি এর না থাকা নিয়া কান্নাকাটি। আমরা ঠিকমত কোনো ট্রেডিশনরে চিহ্নিত করতে পারি না, সর্বোচ্চ আমরা বলতে পারি অমুকের কবিতা ট্রেডিশনাল, বা, কোনো ক্ষেত্রে একটু বেশিই ট্রেডিশনাল। নিন্দা করা ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে এই শব্দটা তেমনএকটা আমরা ইউজ করি না। আর নাইলে মাঝে মাঝে কোনো আর্কেওলজিকাল রিকন্সট্রাকশনের ব্যাপার বুঝাইতে এইটা ভালো অর্থে ইউজড হয়। মানে ইংরেজদের কানে এই শব্দ শুনলে ওই আর্কিওলজি ছাড়া আর তেমনকিছু আসে না মাথায়। এই শব্দটা আমাদের জ্যাতা কিংবা মরা কবিদের নিয়া আলাপের ক্ষেত্রে আসার চান্স খুবই কম আসলে। প্রতিটা দেশ, প্রতিটা জাতির মাইন্ডেরই কেবল ক্রিয়েটিভই না, একটা ক্রিটিকাল টার্নিং পয়েন্টও থাকে; আর এই ক্রিয়েটিভ জিনিয়াসের চাইতে ক্রিটিকাল ঘাটতিগুলা নজরের আড়ালে থাইকা যায়। ফ্রেঞ্চ ভাষায় যে বিশাল পরিমাণে ক্রিটিকাল রাইটিংস বের হইসে তা পইড়া আমরা জানি, বা মনে করি যে আমরা ফ্রেঞ্চদের ক্রিটিকাল মেথড বা তাদের স্বভাবের ব্যাপারে জানি। আমরা মনে করতে পারি (এতই বেহুশ আমরা) যে ফ্রেঞ্চরা একটু বেশিই ক্রিটিকাল, বা এমনকি মাঝে মাঝে এই ভাইবা নিজেরা একটু ভাবও নিতে পারি যে ফ্রেঞ্চরা আমাদের চাইতে কম স্পন্টেনিয়াস। হয়তো আসলেই তাই। কিন্তু আমাদের মনে রাখা দরকার যে ক্রিটিসিজম শ্বাস নেয়ার মতই স্বাভাবিক ব্যাপার, এবং কোনো বই পড়ার পর আমাদের মাথায় যেই যেই চিন্তাগুলা আসে বা মনে যেই ফিলিং জন্মায় তা নোট কইরা রাখার মধ্যে দোষের কিছু নাই। তবে এই প্রসেসে আমাদের মধ্যে একটা টেন্ডেন্সি থাকতে পারে কোনো কবিরে অন্যান্য কবিদের চাইতে তার আলাদা স্টাইলের ভিত্তিতে প্রশংসা করার। আমরা খুব মনে করি যে তার কাজের এই অংশগুলাতে তার স্বাতন্ত্র্য বা একদম তার নিজস্ব কিছু খুঁইজা বাইর করসি। তার আগেকার লেখকদের, স্পেশ্যালি একদম ইমিডিয়েট আগেকার লেখকদের থিকা তার ডিফারেন্স খুঁইজা বাইর করতে পারলে আমরা খুব খুশি হই। কিন্তু এই প্রেজুডিসটা বাদ দিয়া কোনো কবিরে যদি আমরা পড়তে যাই, তাইলে দেখবো একজন কবির কেবল বেস্টই না, বরং তার সবচেয়ে স্বতন্ত্র অংশটার মধ্যেই আগেকার মরা কবিরা, তার পূর্বপুরুষেরা তাদের অমরত্ব সবচেয়ে দাপটের সাথে জানান দেয়। এমনকি এইখানে আমি কবির ইম্ম্যাচিউরড বয়সের কপি করার পিরিয়ডটার কথা বলতেসি না, বরং তার ফুল ম্যাচিউরিটির টাইমের কথাই বলতেসি।