জোয়ান ডিডিওনের জন্ম ১৯৩৪ সালের ৫ ডিসেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে। পাঁচ বছর বয়স থেকেই উনি লেখালেখি করতেন। হাতের কাছে যেই বই পাইতেন পইড়া ফেলতেন। টিনেজার থাকা অবস্থায় সেন্টেন্স স্ট্রাকচার বুঝার জন্য উনি আর্নেস্ট হেমিংওয়ের কাজগুলা টাইপ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উনার বাবা আর্মিতে ছিলেন দেখে প্রায়ই উনাদের মুভ করতে হইছে। এই ব্যাপারটা উনারে অ্যাফেক্ট করছিল, উনি কইছেন যে যেই জায়গাতেই যাইতেন নিজেরে আউটসাইডার মনে হইত। বেশ লাজুক, বুকিশ হিসেবেই বড় হইছেন, যেইটা উনি পরে অভিনয় আর পাবলিক স্পিকিং কইরা কাটাইছেন। বার্কলিতে (ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া, ইংলিশে গ্র্যাজুয়েট করছেন) সিনিয়র ইয়ারে থাকার সময় উনি ভোগ ম্যাগাজিনের ‘প্রি দে প্যারিস’ নামের এসে কন্টেস্টে ফার্স্ট হইছিলেন, যেইটার জন্য পরে উনি ম্যাগাজিনটাতে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজের অফার পান। ভোগে কাজ করার সময় উনি উনার প্রথম নভেল রান, রিভার (১৯৬৩) পাবলিশ করেন। নভেলটার থিম ছিল বিয়ে আর ক্যালিফোর্নিয়া। প্রথমে যখন ক্রিটিকরা এই বইরে তেমন নোটিস করেন নাই, আপসেট হইছিলেন। পরে অবশ্য উনি এই নভেলরে বেশ ক্রিটিসাইজ করছেন, কইছেন যে নভেলটা উনি হোমসিক অবস্থায় লিখছিলেন, ওইটা নাকি ভুয়া নস্টালজিয়া আর ফেক ক্যালিফোর্নিয়ান লাইফের উপর লেখা। এরপরে উনি স্যাটার্ডে ইভেনিং পোস্টে কলাম লিখা শুরু করলেন। ক্যালিফোর্নিয়া নিয়া লেখা এই ম্যাগাজিন কলামগুলার কালেকশন নিয়া ডিডিওনের পরের কাজ স্লাউচিং টোয়ার্ডস বেথেলহেম (১৯৬৮) পাবলিশড হইল। এই বই অবশ্য ক্রিটিকরা ইমিডিয়েটলি নোটিস করেন আর এইটার পপুলারিটি বাড়তে থাকে। এই নন ফিকশন বইটা দিয়া উনি একজন পপুলার এসে রাইটার হিসেবে আমেরিকান লিটারেচারে নিজের জায়গা পাকা করেন। উনার লেখার স্টাইলরে নিউ জার্নালিজম জঁরার মধ্যে ফেলা যায়। নরমাল জার্নালিজম স্টাইল উনার বেশি একটা পছন্দ না। উনার লেখা এসের মধ্যে তাই উনার নিজস্ব একটা স্টাইল খুঁইজা পাওয়া যায়, যেইখানে একটা লেখা শুধু কিছু ইনফরমেশনের কালেকশন না, এইটার সাথে লেখকের নিজের ফিলিংস থাকে, একটা সাব্জেক্টিভ ভাব থাকে। উনার এই ইউনিক লেখার স্টাইল নিয়া অবশ্য ক্রিটিসিজমও হইছে, উনার সময়েরই আরেকজন কইছে যে উনার সব লেখার সাব্জেক্ট উনি নিজেই, যেইটা নিয়া ডিডিওন বেশ প্যারা খাইছিল। উনি জার্নালিজম নিয়াও বেশ ইন্টারেস্টেড, তাই জার্নালিস্টদের প্রায়ই অবজার্ভ করেন। উনার মতে ফিকশন আর নন ফিকশন লেখার প্রসেসের মধ্যে ফারাকটা হইল নন ফিকশনে হুটহাট নানা জিনিস বাইর হয়, আর এইটা লেখার সময় বাইর হয় না, রিসার্চ করার সময় বাইর হয়। উনার লেখাতে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, হেনরি জেমস আর জর্জ এলিওটের কাজের ইনফ্লুয়েন্স দেখা যায়। ষাট থেকে সত্তরের দশকে জোয়ান ডিডিওনের লেখাগুলা কাউন্টারকালচারের বাস্তবতা নিয়া কথা কইত, হলিউডের বাস্তবতার কথা কইত। উনি ১৯৯১ সালের নিউ ইয়র্ক সিটির 'সেন্ট্রাল পার্ক ফাইভ' কেসের সরকারি পক্ষের বিভিন্ন আর্গুমেন্টের লুপহোল বের করছিলেন, লেখালেখি করছিলেন যে ওই পাঁচজন আসামির বিচারটা ওদের রেসের জন্য ঠিকভাবে করা হয় নাই। উনি প্রথম কয়েকজনের মধ্যে একজন ছিলেন যারা এই দাবি তুলছিলেন। এমনে পলিটিকাল সাবটেক্সট নিয়া বেশ লেখালেখি করছেন। '৬৮ এর দিকে মেন্টাল ব্রেকডাউন, পরে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসসহ নানা ধরণের রোগ ধরা পড়ার পরেও দমেন নাই। ২০০৩ সালে হাজব্যান্ড মারা যাওয়ার দুই বছরের মাথায় একমাত্র মেয়েও মারা যায়। উনাদের নিয়া উনি পরপর দুইটা বই লিখেন, যেইটা উনার শোক প্রসেস করার জন্য বেশ থেরাপেটিক হইয়া দাঁড়াইছিল। উনি আর উনার হাজব্যান্ড মিইলা কয়েকটা মুভির জন্য স্ক্রিনপ্লেও লিখছিলেন। জোয়ান ডিডিওন এখন পর্যন্ত পাঁচটা ফিকশন, চৌদ্দটা নন ফিকশন, ছয়টা স্ক্রিনপ্লে আর একটা নাটক লিখছেন। ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড, সেইন্ট লুইস লিটারেরি অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক অ্যাওয়ার্ড তো পাইছেনই, হার্ভার্ড আর ইয়েল উনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেটও দিছে। ২০১৭ সালে নেটফ্লিক্স থেকে উনার জীবন নিয়া ডকুমেন্টারি রিলিজ হইছে। উনি এখন নিউ ইয়র্কে থাকেন, এখনো লিখালিখি করেন। রূপকথা নাওয়ার
Joan Didion is an American writer who launched her career in the 1960s after winning an essay contest sponsored by Vogue magazine. Her writing during the 1960s through the late 1970s engaged audiences in the realities of the counterculture of the '60s and the Hollywood lifestyle.