দ্য প্যারিস রিভিউতে মুরাকামি’র এই ইন্টারভিউটা ছাপা হইছিল ২০০৪ সালে। দ্য আর্ট অফ ফিকশন সিরিজের অংশ হিসাবে, যেইটা ১৯৫৩ সাল থিকা উনারা শুরু করছিলেন এবং এখনো চালু আছে। মুরাকামির ইন্টারভিউটা ১৮২ নাম্বার। বাংলা অনুবাদে ইন্টারভিউর শিরোনামটা চেইঞ্জ করা হইছে। মুরাকামির লেখাতে খেয়াল করার জায়গা মেইনলি দুইটা। একটা হইল, সাহিত্য-বাজারে যে এখনো আলাদা কইরা একটা ঐতিহ্য বানানো (যদিও নিয়ম হইল ‘তুলে ধরা’ লেখা) ভালো উপন্যাসের শর্ত হিসাবে চালু আছে, মুরাকামি তাঁর উপন্যাসগুলাতে এই জিনিসটারে মোটামুটি আজাইরা প্রমাণ করতে পারছেন। গ্লোবাল কালচারাল উগ্রবাদীরা এই ঐতিহ্য আবিষ্কারের ভিতর দিয়াই নিজেদের অপারেট করেন। ইন্টারভিউয়ারও বারবার এই জায়গাটা থিকাই আলাপটা করতে চাইতেছিলেন। যে, মুরাকামি তো জাপানিজ রাইটার, উনি জাপানি ঐতিহ্য মাইনা লেখেন না কেন! অথচ এই যে জাপান, এই যে ইন্ডিয়া বা এই যে লাতিন আম্রিকা বইলা ফিক্সড একটা কিছুরে আবিষ্কার করা, এই জিনিসটাই তো একটা সমস্যা! বাংলাদেশ মানেও দেখবেন, রিকশা, মাটির হাতি-ঘোড়া... এইসব। তো, এই কারণে এইরকমের ঐতিহ্য-নিয়ম মাইনা, গল্প-উপন্যাসে বার্গার খাইয়া কেউ বাংলা-কবিতা লেখতে পারব না, ভাপা-পিঠাই খাওয়া লাগব, ইভেন গরমের দিন আইসা পড়লেও! কিন্তু মুরাকামির ঐতিহ্য-মানা কবি বরিশালে থাইকা বিটেলসের গান নিয়া কবিতা লেখতে পারেন, এই পারমিশন তার আছে। এইটা একটা বেসিক ডিফরেন্সের জায়গা যেই জিনিসটারে প্যারিস রিভিউ মেবি রিকগনাইজ করতে রাজি না; যার ফলে মুরাকামিরে পপ না বইলা অ্যাকসেপ্ট করা যাইতেছে না। অথচ দেখেন, যেই রেফারেন্স দিয়া মুরাকামিরে পরিচয় করায়া দিতেছেন আমাদের লগে, লরেন্স স্ট্রান, জে.ডি. সিলিংগার... উনাদেরকেই এখন মুরাকামির রেফারেন্স দিয়া চিনা লাগবে! মানে, একটা ওয়েস্টার্ন লিটারেচারের বেইজ থিকা মুরাকামিরে জানতে চাওয়ার ঘটনা এই ইন্টারভিউটা। এই ব্যাকগ্রাউন্ডটা মাথায় থাকলে বেটার মনেহয়। ইন্টারভিউ’টা বেশ ডিটেইল। মুরাকামি নিজের লেখালেখি নিয়া কয়েকটা কথা কইতে পারছেন। যিনি ইন্টারভিউ নিছেন, উনার প্রিপারেশন তো ছিলই, কিছু এজেন্ডাও ছিল। তো, যেকোনো ইন্টারভিউতে কিছু এজেন্ডা থাকাটা ভালো, এজেন্ডাগুলাই মেইন না হয়া উঠলে আরো ভালো মনেহয়। ইন্টারভিউটা দুইদিনে নেয়া। সহজ ইংরেজিতেই বলা কথাগুলা। কিন্তু সহজ ইংরেজিরেও তো বাংলায় অনুবাদ করা যায়! ইন্টারভিউ নিছেন জন রে।
Haruki Murakami ( January 12, 1949) is a Japanese writer. His books and stories have been bestsellers in Japan as well as internationally, with his work being translated into 50 languages and selling millions of copies outside his native country. The critical acclaim for his fiction and non-fiction has led to numerous awards, in Japan and internationally, including the World Fantasy Award (2006) and the Frank O'Connor International Short Story Award (2006). His oeuvre received, for example, the Franz Kafka Prize (2006) and the Jerusalem Prize (2009). Murakami's most notable works include A Wild Sheep Chase (1982), Norwegian Wood (1987), The Wind-Up Bird Chronicle (1994–95), Kafka on the Shore (2002), and 1Q84 (2009–10). He has also translated into Japanese English works by writers ranging from Raymond Carver to J. D. Salinger. His fiction, still criticized by Japan's literary establishment as un-Japanese, was influenced by Western writers from Chandler to Vonnegut by way of Brautigan. It is frequently surrealistic and melancholic or fatalistic, marked by a Kafkaesque rendition of the "recurrent themes of alienation and loneliness he weaves into his narratives. He is also considered an important figure in postmodern literature. Steven Poole of The Guardian praised Murakami as "among the world's greatest living novelists" for his works and achievements.