'মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী' এই সহজ বিশ্বাসেও কতিপয়ের রয়েছে উল্টো মত, এখানেও বিতর্ক। নারীর প্রতি মতবিশ্বাসে ভিন্নতা অনেকের, এখানে রয়েছে আরও জটিল বিতর্ক। আধুনিক সাহিত্যে, পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে, নানান রূপের রাজনীতিতে, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নারীর অবস্থান রয়েছে নানাভাবে, এমনকি পরস্পর বিরোধপূর্ণভাবে। অনিশ্চিত মহাবিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বের পরিণতি ও এলোমেলো বিবর্তনের ফলে মানব উৎপত্তি হলে তার জীবনাচারও সুনির্দিষ্ট নীতিতে যথাযথ ও পরিশীলিত না হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু প্রভাবশালীভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্ভুল দাবি করা ঐশী গ্রন্থ কুরআন মানুষ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা ও জীবনাচারের মূলনীতি বর্ণনা করে। একেশ্বরবাদী এই ধর্ম দাবি করে একক স্রষ্টা একক সারবত্তা থেকে মানবজাতির নারী-পুরুষ উভয়কে সৃষ্টিসহ মহাবিশ্বকেও একটি সুশৃঙ্খল ঐক্যের মধ্যে সৃষ্টি ও চলমান রেখেছেন এবং মানব সৃষ্টির এরূপ উদ্দেশ্যবাদে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা, বৈচিত্র্যতা সমমুখী, ঐক্যের ও সংহতিপূর্ণ; কিন্তু মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীনতা, সে কারণে পরকালে রয়েছে হিসাব-নিকাশ। আরও তো ধর্ম আছে, আছে নানান মতবাদ। পৃথিবীতে আমরা দেখি নারী অধিকার-অনধিকারের প্রশ্নে রয়েছে নানান ভিন্নমুখী মতবাদ ও চর্চা। নারী স্বাধীনতার পুনঃপুন উচ্চারণ আর লেখনীর ব্যানার স্পষ্ট বার্তা দেয় নারী অবহেলিত, নারী নিপীড়িত। কেউ নারীকে করতে চায় কোষ্ঠাবদ্ধ, কেউ ছড়িয়ে পড়তে বলে সর্বত্র। স্থান সাপেক্ষে নারীর গতিশীলতা বা স্থিতিশীলতার সঙ্গে কারও রয়েছে নারী অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি, কারও-বা নারীর অর্থ-সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণের সামর্থ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে, আবার কারও রাজনৈতিক ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণবাদী কর্তৃত্ব, নেতৃত্বের সঙ্গে। বিপরীতমুখী দুই প্রান্তিক মতবাদ পিতৃতন্ত্র আর মাতৃতন্ত্র তৈরি করে সংঘর্ষ এবং একপাক্ষিক নিয়ন্ত্রণবাদিতা। কী হবে নিয়মতান্ত্রিকতা, সুস্থ-স্বাভাবিক, সহজাত বৈশিষ্ট্য ও সামর্থ্যের সঙ্গে সুসামঞ্জস্যতা? এখানে নারী ও পুরুষের দৈহিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ, নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার, নর-নারীর আবেগ-ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। 'মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী' এই সহজ বিশ্বাসেও কতিপয়ের রয়েছে উল্টো মত, এখানেও বিতর্ক। নারীর প্রতি মতবিশ্বাসে ভিন্নতা অনেকের, এখানে রয়েছে আরও জটিল বিতর্ক। আধুনিক সাহিত্যে, পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে, নানান রূপের রাজনীতিতে, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নারীর অবস্থান রয়েছে নানাভাবে, এমনকি পরস্পর বিরোধপূর্ণভাবে। অনিশ্চিত মহাবিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বের পরিণতি ও এলোমেলো বিবর্তনের ফলে মানব উৎপত্তি হলে তার জীবনাচারও সুনির্দিষ্ট নীতিতে যথাযথ ও পরিশীলিত না হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু প্রভাবশালীভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্ভুল দাবি করা ঐশী গ্রন্থ কুরআন মানুষ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা ও জীবনাচারের মূলনীতি বর্ণনা করে। একেশ্বরবাদী এই ধর্ম দাবি করে একক স্রষ্টা একক সারবত্তা থেকে মানবজাতির নারী-পুরুষ উভয়কে সৃষ্টিসহ মহাবিশ্বকেও একটি সুশৃঙ্খল ঐক্যের মধ্যে সৃষ্টি ও চলমান রেখেছেন এবং মানব সৃষ্টির এরূপ উদ্দেশ্যবাদে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা, বৈচিত্র্যতা সমমুখী, ঐক্যের ও সংহতিপূর্ণ; কিন্তু মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীনতা, সে কারণে পরকালে রয়েছে হিসাব-নিকাশ। আরও তো ধর্ম আছে, আছে নানান মতবাদ। পৃথিবীতে আমরা দেখি নারী অধিকার-অনধিকারের প্রশ্নে রয়েছে নানান ভিন্নমুখী মতবাদ ও চর্চা। নারী স্বাধীনতার পুনঃপুন উচ্চারণ আর লেখনীর ব্যানার স্পষ্ট বার্তা দেয় নারী অবহেলিত, নারী নিপীড়িত। কেউ নারীকে করতে চায় কোষ্ঠাবদ্ধ, কেউ ছড়িয়ে পড়তে বলে সর্বত্র। স্থান সাপেক্ষে নারীর গতিশীলতা বা স্থিতিশীলতার সঙ্গে কারও রয়েছে নারী অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি, কারও-বা নারীর অর্থ-সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণের সামর্থ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে, আবার কারও রাজনৈতিক ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণবাদী কর্তৃত্ব, নেতৃত্বের সঙ্গে। বিপরীতমুখী দুই প্রান্তিক মতবাদ পিতৃতন্ত্র আর মাতৃতন্ত্র তৈরি করে সংঘর্ষ এবং একপাক্ষিক নিয়ন্ত্রণবাদিতা। কী হবে নিয়মতান্ত্রিকতা, সুস্থ-স্বাভাবিক, সহজাত বৈশিষ্ট্য ও সামর্থ্যের সঙ্গে সুসামঞ্জস্যতা? এখানে নারী ও পুরুষের দৈহিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ, নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার, নর-নারীর আবেগ-ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
আশাবাদী তরুণ সোহরাব আল আমিনী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথম ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বহুমুখী, বিরোধপূর্ণ মতবিশ্বাস ও ভ্রান্তির বেড়াজাল নিয়ে লিখা 'সত্যান্বেষণ' গ্রন্থ। কাজের বৈচিত্রতা এনেছেন 'স্বভাবসিদ্ধ স্বাস্থ্যবিধি' গ্রন্থটি লিখেও। তার লিখার আওতা সীমাবদ্ধ নয়। পেরিয়ে যেতে চান সব বাধাবিপত্তি। ভালো লাগে ধর্মতত্ত্ব, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন ও সাহিত্য পড়তে এবং ঘুরতে। স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর পৃথিবীর।