এ সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন সব্যসাচী সচেতন সৃজনশীল লেখকের নাম ফরিদুল মাইয়ান। তিনি একাধারে কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ সাহিত্যের সকল শাখায় মননশীল ভাবে লিখে চলেছেন। তাঁর নিত্য-নতুন লেখায় সমৃদ্ধ করেছে ছোটদের এবং বড়দের হৃদয়। বাংলার মাটি, মানুষের সাথে রয়েছে তাঁর নিগূঢ় সখ্যতা। তাঁর লেখায় গ্রাম, সবুজ প্রকৃতির ও শহুরে জীবনের এক নিদারুণ মেলবন্ধন পাওয়া যায়। প্রতিটি শিশুর মনের গহিনে থাকে অজানাকে জানার প্রবল আগ্রহ। তারা সব সময় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে। তাদের মন মগজ বুঝেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তা না হলে শিশুদের মনোজগতের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। ‘সোনার খাঁচায় রুপোর পাখি’ শিশুদের মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি নাম। বইটির প্রতিটি গল্প শিশুদের জন্য শিক্ষনীয়। অমনোযোগী বাচ্চাদের পড়ায় মনোযোগী ও স্কুলগামী করার জন্য চমৎকার কৌশল লেখক তাঁর লেখার মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। শিশুতোষ গল্প মূলত শিশুদের মনোজগত বুঝে লিখতে হয়। এটা বেশ কঠিন কাজ। লেখক এই কঠিন কাজটি খুব সহজেই তার গল্পের ভিতরে ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই সাথে লেখক বইটির শিরোনামেই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। একই সাথে লেখক তার প্রতিটি গল্পে শিশুদের জন্য শিক্ষনীয় ও উপদেশ মূলক বার্তাও রেখেছেন। লেখকের সু-নিপুণ গল্প বলার দক্ষতা শিশুদের পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে। পাশাপাশি এই বইটি বর্তমানে আমাদের সামাজিক নানান অবক্ষয় রোধে সন্তানদের মানবিক সচেতন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। আশা করি, বইটি পাঠক মহলে বেশ সমাদৃত হবে। আমি এই গুণি লেখকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। -প্রকাশক