পড়ার বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখে চুপিচুপি গল্পের বই পড়া আর ধরা খেয়ে মায়ের বকুনি।একটা গল্প শুরু হলে নাওয়া খাওয়া ভুলে যাওয়া আমি গল্পের পাশাপাশি কি যত্ন করে লেখকদের নিয়ে ভাবতাম…. কেমন করে এত সুন্দর লেখে মানুষ!! খুব মনে হত আমি যদি লিখতে পারতাম। ছোটবেলায় দু একটা কবিতা লিখে মহিলা কবি নাম পেয়ে গেলাম বাংলার শেখর স্যারের কাছে। একবার আমার একটা এলেবেলে লেখা ঊনার ভরাট গলায় পড়ে শুনালেন, আমি মুগ্ধ হলাম। যদিও জানি এত ভালো লাগা উনার কন্ঠের গুনে। তবুও ভালো লাগার রেশ হয়ে গেল এতদিন বাদেও। মনে হত পারবো হয়তো, স্যার বলতেন তোর লেখার হাত আছে রে। পরপারে ভালো থাকবেন স্যার। ভালো বা মন্দ লিখি এসব ভাবি না, লিখতে বসলে শান্তি লাগে, আমি তখন আমি নই। গল্পের চরিত্রের সাথে কত যে কাঁদি, হাসি। আমার বই বের হবে এমন কখনও ভাবিনি, তবে গল্প পড়ে আমার পাঠকদের কেউ কেউ যখন বই বের করতে বলেছেন…. তখন ইচ্ছে পোকা মনকে দোলা দিয়েছে। উপকথা প্রকাশনীর ফকির তানভীর আহমেদ ভাই বই ছাপানোর সুযোগ করে দিলেন। একটা মলাটবদ্ধ বই, একটা মস্ত স্বপ্ন। আর মাত্র পঁচিশ দিন… “হৃদয়ে যে জন” বইটি বের হচ্ছে ২০২৩ বইমেলায় উপকথা প্রকাশনী থেকে। সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।