প্রিয়তমার প্রতি প্রণয়ের কোনো কমতি ছিলনা সুলায়মানের । সময়ের পরিক্রমায় সমস্ত কিছু যেন উদ্দেশ্যেহীন হয়ে যাচ্ছিল। নিয়তি সব সময় সবার অনুকূলে থাকে না। তাই নিয়তির প্রতি কোনো আক্ষেপ নেই তার। সুলায়মান বিশ্বাস করে-বিধাতা যা করবেন আমাদের মঙ্গলের জন্যই করবেন। এক পৃথিবী ঘৃনা জমিয়ে ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে নিজেকে নিরবে সরিয়ে নিলো মেহের। পৃথিবীর সমস্ত নিস্তব্ধতা ঘিরে ফেলেছে তাকে। মেহের তার ভবিষৎ জানেনা। জানেনা তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। প্রিয় মানুষ, প্রিয় স্থান ত্যাগ করে মেহেরের অবস্থান হয় পারস্যের অচেনা-অজানা এক রাজ্যে। দুর্ভাগ্যক্রমে এমন একটি রাজ্যে তার অবস্থান হয় যেখানে মেয়েদেরকে রাজ্যের জন্য অভিশাপ মনে করা হতো । রাজ্যের প্রায় সকল মানুষ এমনটাই মনে করতো। একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়া মানে রাজ্যের জন্য অভিশাপ। মেয়েদেরকে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে ছাড়তে হতো। কিন্তু,মেহেরের পরিস্থিতি এমনই-- তাকে হয়তো এখানেই অতিবাহিত করতে হবে বাকীটা জীবন । প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে, নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে, বিলাসী কল্পনাকে ধূলির আস্তরণে ঢেকে বাস্তবতায় সুখ পেতে চেয়েছিল মেহের । কিন্তু, তার হাতে তুলে নিতে হয়েছিলো প্রতিশোধের তরবারি। যার সঙ্গে সারাজীবন অতিবাহিত করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নিজ হাতে তাকেই খুন করেছে মেহের। বাস্তবতা খুব কঠিন। নিয়তি বড়োই নির্মম।
Masum Muhotadi-এর জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ সাল। তিনি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন । ২০২০ একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার লেখা প্রথম এবং আলোচিত উপন্যাস "অভিশপ্ত নগরী"। ★প্রেম, যুদ্ধ,বিদ্রোহ, ট্রাজেডি,মিথ, আত্মত্যাগ, ঐতিহাসিক শাসন ব্যবস্থা, সাধারণ মানুষের জীবনমান এসব বিষয় তার লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো নিয়ে তিনি একের পর এক রচনা করতে চান ফিকশন উপন্যাস। প্রবল ইচ্ছা প্রতিটি দেশ এবং দেশের মানুষগুলোকে নিয়ে লেখা।