দৃশ্যান্তরের পূর্বে... কবি ঋষভ চার্বাক’র প্রথম কাব্য ‘অন্ধকারের দৃশ্যান্তর’। কবির জন্য তো বটেই, আমি, আমরা যারা কবি ও কবির কবিতার সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত তাদের জন্যও এটি তৃপ্তিকর আনন্দ উপলক্ষ্য। কবি ঋষভ চার্বাক গৃহসন্যাস জীবন - যাপনের ভিতর লুকিয়ে থাকা ক্ষুদ্রাকায় কিন্তু অস্তিত্বে বর্তমান অনুভূতিগুলোকে তুলে এনে সৃজন করেন কবিতা। সেগুলো সব যে বোধগম্য তা নয়। তবে তার সমবোধ আমাদের কারও কারও বা কখনও কখনও সম্মিলনের আনন্দ দেয়। এটা কবিরও আনন্দ। এই আনন্দ সন্ধানেই কবিতা লিখতে হয়। কবিতা পড়তে হয়। আমি বিশ্বাস করি, কবি ঋষভ চার্বাক’র প্রথম কাব্য অন্ধকারের দৃশ্যান্তর’র কবিতাগুলো পড়ে পাঠক সেই আনন্দ পাবেন। আর কবিতাগুলো ধারাবাহিকভাবে পড়ে গেলে হৃদপটে যে অধরা দৃশ্যকল্পটি তৈরি হবে প্রশ্নোত্তরের উপসংহারে তা নতুন উপলব্ধিতে আন্দোলিত করবে পাঠককে। কবি মাত্রই প্রচারবিমুখ; কিন্তু কবিতা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে কবিকে তার এই নিজস্বতার সাথে এক ধরনের আপোষরফা করতে হয়। কবি ঋষভ চার্বাকের সেই সমঝোতার ভার অনেকখানিই লাগব করে দিয়েছে হরকরা প্রকাশনী। বিশেষ করে, একজন কবির কবিতাকে পাঠকের কাছে নিয়ে যেতে হরকরা প্রকাশনীর কর্ণধার সাগর ইসলাম এবং সম্পাদক এলাইনা হোসেন’র যে আন্তরিক অভিলাষ, তার কাছে আমাদের চেষ্টাটা কখনই প্রশ্নসূচক দায়ভার মনে হয়নি, বরং তাদের সংসর্গে বিপুল আনন্দের সাথে কাব্য প্রকাশের কর্মযজ্ঞটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। হরকরা প্রকাশনী সৃজনশীল মানুষের মুক্তমঞ্চ হয়ে বেঁচে থাকুক এই প্রার্থনা। কবিতা হোক মানবিক জাগরণের হাতিয়ার। মামুন সাকি