১. তাজকিয়াতুন নফস তাজকিয়া বা আত্মশুদ্ধি অর্জন প্রতিটি মুমিনের ওপর ফরজ। অন্যান্য ফরজের চেয়ে এর গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়। এর গুরুত্ব স্পষ্ট হয় এ কথা থেকে যে, বান্দার সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করে এ দায়িত্ব আদায়ের ওপর। পৃথিবীতে নবি-রাসুল ও আসমানি কিতাব পাঠানোর অন্যতম উদ্দেশ্যও এই আত্মশুদ্ধিকর্মের দিকনির্দেশনা ও পূর্ণতাদান। এই গ্রন্থে পাবেন, আত্মশুদ্ধির পরিচয়, নফসের পরিচয় ও প্রকারভেদ, তার বিভিন্ন অবস্থা; শয়তান তাকে কীভাবে কাবু ও কলুষিত করে, শয়তানের জাল ছিঁড়ে বের হয়ে আসা ও আত্মশুদ্ধিচর্চার বিভিন্ন পদ্ধতি; সালেহিনদের সঙ্গ গ্রহণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, একজন সাধারণ মানুষ ও একজন দায়ির দাওয়াতি পথে আত্মশুদ্ধি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ। এ ধরনের বহু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে বইটি। আল্লাহ ইচ্ছায়, আত্মশুদ্ধির জ্ঞানার্জনে এটি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। তাওবা ও তাকওয়া আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা পেতে হলে কাড়ি কাড়ি টাকা-পয়সা ও বিরাট ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই আকাশছোঁয়া অট্টালিকা, দামি গাড়ি আর স্ফীত ব্যাংক-ব্যালেন্সের। প্রয়োজন কেবল তাওবা ও তাকওয়ার, অতীতের পাপ থেকে ফিরে এসে আল্লহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে পূত-পবিত্র জীবনযাপন করা। এই বৈশিষ্ট্য যদি আমরা অর্জন করতে পারি, তাহলে সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন। জীবন নিয়ে আমাদের যত কষ্ট ও অভিযোগ, তা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে ‘তাওবা ও তাকওয়া’ বইটি হবে উত্তম সহায়ক। নফস ও শয়তানের কুমন্ত্রণায় পড়ে আমরা যে গুনাহের সাগরে ডুবে আছি, তা থেকে ফিরে এসে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনে অনুপ্রাণিত করবে বইটি। তাকওয়ার বৈশিষ্ট্য একজন মুমিনের জীবনকে কতটা সুন্দর ও সুশোভিত করে, তার হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা রয়েছে বইটির পরতে পরতে। পাপের রোদে যে হৃদয় পুড়ে গেছে, বইটি সেখানে জাগিয়ে তুলবে সবুজ স্পন্দন। এসো জীবনকে পরিবর্তন করি আমরা জন্মের পর দুর্বল ছিলাম আর মৃত্যুর পূর্বেও দুর্বল হয়ে যাব। দুনিয়াটা আমাদের জন্য স্থায়ী বসবাসের জায়গা নয়। সবকিছু ছেড়ে একদিন রবের ডাকে সাড়া দিতেই হবে। কিন্তু এটা জেনেও আমরা দুনিয়া মোহে পড়ে জীবনটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। আমরা দুনিয়া নিয়ে এতটাই চিন্তিত যে, আমরা আমাদের মৃত্যুর কথাও মাঝে মাঝে ভুলে যাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন। আর তার মধ্যে স্বর্ণালি সময়টা হচ্ছে যুবক বয়স। হে তরুণ-তরুণী ভাই-বোন আমার! দুনিয়ার ভোগবিলাসের কারণে নিজের আখিরাতকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে ঠেলে দেবেন না। আখিরাতকে সুন্দর ও আলোকিত করতে ছলনাময় দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে ঠিক ঠিক ফিরে আসুন রবের ভালোবাসার নীড়ে।