সময়ের সমুদ্রে আমরা ক্ষুদ্র এক একটি বুদবুদ । এই আছি আর এই নেই। তাই, যেটুকু সময় পাওয়া গেছে তার যতটুকুই কাজে লাগান যায়, ততই আনন্দ আর তৃপ্তি। সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব দান নিরুপম মহিমায় সাজান এই দুনিয়া। আমাদের সেসব গ্রহণ করা এবং বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন পরম করুনাময়। সে ক্ষমতা আমাদের বুদ্ধি এবং জ্ঞান অর্জনের সামর্থ্য। এই বৃদ্ধি এবং অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমরা সুন্দর পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি নিজের, সমাজের এবং এই অনুপম পৃথিবীর জন্যে। মানুষকেই এই সব কিছুর জন্যে ভাবতে হয়। আজ পর্যন্ত যা কিছু কল্যাণকর দুনিয়াতে হয়েছে, সবই মানুষের চিন্তা ভাবনার প্রসূন। আমি চাই, তোমরা সবাই নিজেকে স্বশিক্ষিত করে গড়ে তোল। নতুন সৃষ্টির কথা ভাব, মানুষকে ভালোবাস এবং তাদের সুখ দুঃখের কথা বুঝতে চেষ্টা করো। মানুষ জ্ঞান। আহরণ করে, নতুন সৃষ্টির কথা চিন্তা করে এবং কেবলমাত্র নিজের জন্যে নয় সবার সম্পর্কে সচেতন হয়েই করে। আজ যে প্রযুক্তির যুগে আমরা উন্নীত হয়েছি তা বিস্ময়কর। মানুষ যাতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে, সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে তার কৌশল আমরা আজ হাতের মুঠোয় আনতে পেরেছি। এই বইটি, খুব ছোটবেলা থেকেই আমার চারপাশে দেখা পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আহরণের গল্প । মানুষ, প্রকৃতি এবং মহাবিশ্বকে জানা ও বোঝার চেষ্টা আমার অনমা। যেটুকু জানি ও যেটুকু বুঝেছি মানুষ, প্রকৃতি, সমাজ এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে তার সামান্য কিছু এই 'আকাশ কেন নীল' হড়া আর কবিতার বইতে ছন্দের অলংকারে সাজাতে চেয়েছি। নবীন আমার আশা বইখানি পড়ে কিছু জানতে পারবে আবার আনন্দও
প্রযুক্তির জগতে ডক্টর ইসমেত জাকিয়া রহমান নামে পরিচিত। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অ্যাকাডেমিক ফ্যাকাল্টি। জন্ম ১৯৫০ সালে। পদার্থবিদ্যায় মূল শিক্ষা রাজশাহী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাউথাম্পটন থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি সর্বমহলে পরিচিত হলেও প্রকৃতি প্রেমিক, পরিবেশবাদী ও সমাজ সেবক। তার সখের মধ্যে রয়েছে লেখালেখি, বাগান করা, উদ্ভিদ চর্চা, ছবি তোলা এবং চিত্রাংকন। বাল্যকাল থেকেই তিনি গল্প, ছড়া, কবিতা এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতেন । সে সব লেখা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মজীবনে পেশাগত ব্যস্ততায় প্রায় চল্লিশ বছর লেখালেখি এবং চিত্রাংকন বর্জন করেছিলেন। ছাত্রজীবনে কিছু সাহিত্য পত্রিকা ও কর্মজীবনে বৈজ্ঞানিক পুস্তক ও জার্নাল সম্পাদনা চর্চায় লিপ্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও সংবাদপত্র, সম্পাদিত পুস্তক ও পত্রিকায় লিখে চলেছেন।