প্রাত্যহিক জীবনের নানান ঘটনা প্রবাহ ও বৈচিত্র্যময়তা সবার মনেই একটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ কেউ ভাবিত হয় কেউবা হয় না। আবার ভাবনাগুলোও কাউকে কাউকে অন্য এক দোলাচলে ফেলে দেয়। হরেক কথা আবর্তিত হয় মনের ভেতর। কপাট খুলে বের হতে চায়, হয়ও। কখনো কখনো তা হয় ছন্দে-আনন্দে। আর তখনই একটা কাব্য শিল্পের জন্ম হয়। রাজীব চৌধুরী - লেখায় প্রথাগত চর্চার বালাই নেই, অনিয়মিতভাবে লিখছেন স্কুল জীবন থেকেই। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্লা-কার্ডে নীল শব্দ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। দীর্ঘ বিরতিতে ২০২৩ এ প্রকাশিত হল ‘অন্তরাবর্তন’। এ কাব্য গ্রন্থের গদ্য ছন্দের সাথে কিছু ছন্দবদ্ধ ও কিছু সনেট পাঠকের আগ্রহের কারণ হতে পারে বলে অনুমেয়। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারি কালে তাঁর কবিতা ‘ক্রান্তিকালের সুলুক সন্ধান’ পাঠককুলে সমাদৃত হয়েছে। বিদগ্ধ জনের মতে এটি মহামারি নিয়ে লেখা অন্যতম সেরা কবিতা হিসেবে বিবেচ্য। নিরীক্ষাধর্মী সনেট রচনায়ও তিনি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। চন্দ্রকান্তা, গ্রন্থিমোচন, অন্তরাবর্তন সহ সনেটসমূহ পাঠকের বিশেষ নজর কাড়বে আশা করি। কবিতায় শব্দালংকার প্রয়োগে তিনি সাবলীল। কবি তাঁর কলমের যাদুতে পাঠকের ভেতরে এক চমৎকার দৃশ্যপট সৃষ্টি করে আধুনিক; উত্তর আধুনিক জীবনকে এক নতুন মাত্রায়, নতুন ক্যানভাসে শব্দচিত্র দিয়ে তুলে ধরেন। কবিতা পাঠ হয়ে ওঠে জীবনবোধের শানিত অভিজ্ঞতা।
Born in Chittagong, a beautiful town in bangladesh which has many stories to tell. He is an architect by profession. Loves to write dreams, some dreams no one could imagine.