নিজের বিয়ের এনগেজমেন্ট রিং কিনতে গিয়ে কিডন্যাপ হলো দীপ্ত নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করতে আসা একদল ডাকাতের হাতে জিম্মি হলো সে, যে দলের প্রধান ছিল একটি মেয়ে। দীপ্তর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে জিম্মি করে শহর ছাড়ল ডাকাতদল। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা দীপ্তকে নিয়ে চলে গেল অনেকটা দূরে। অবশেষে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্গম আস্তানায় গা ঢাকা দিল তারা। সেখানে অপেক্ষা করছিল ডাকাতদলের সর্দার জুনায়েদ ও অন্য সঙ্গীরা। এদিকে অপহৃত দীপ্তর আরেকটা পরিচয় পেয়ে শঙ্কিত ডাকাতদল। পুলিশের ঊর্ধ্বতনরাও নড়েচড়ে বসল তার উদ্ধার তৎপরতায়। ডাকাতদল সিদ্ধান্ত নিল দীপ্তকে জিম্মি করেই তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে হবে। তারা বন্দিকে চাপ প্রয়োগ করে তার জন্য তার পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করল। পুলিশ তাদের গতিবিধি ধরে ফেললে রাতারাতি তারা বন্দিকে নিয়ে গা ঢাকা দিল। শুরু হলো ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া। ডাকাতদল বন্দিকে নিয়ে ছুটতে থাকল দিগি¦দিক। কখনো মালবোঝাই ট্রাকে, কখনো নদীতে, কখনো জঙ্গলে, কখনো মাছের ট্রলারে আবার কখনো দুর্গম পাহাড়ে। একদল দুর্ধর্ষ মানুষের সংস্পর্শে, তাদের খুব কাছাকাছি গিয়ে দীপ্ত এদের ভেতরকার মানুষগুলোর পরিচয় পেল। সে জানতে পারল, এদের প্রত্যেকের জীবনের সত্যিকারের গল্পটা। দীপ্ত প্রেমে পড়ল ডাকাতদলের অন্যতম সদস্য, এক নিষ্ঠুর, দুর্ধর্ষ ডাকাতিনী, পূর্ণতার। জানতে পারল তার জীবনের লোমহর্ষক, ভয়ংকর, বেদনাদায়ক একটা গল্প।