জীবনের পথে চলতে চলতে যা কিছু দৃশ্যমান বা অনুভব করার বিষয় তার নির্যাসটুকু ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখার অভ্যাস থেকেই লেখালেখি শুরু। লিখতে হবে বলে লেখা নয় লিখতে ভালো লাগে তাই লেখা। একসময় মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দিক এবং সমাজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ডায়েরির পাতায়। প্রকাশিত অপ্রকাশিত সকল লেখারই উৎস একান্ত সময়ের ডায়েরি। পরবর্তী সময়ে লেখার পরিধি বড়ো হয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রে লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। ‘দৈনিক গ্রামের কাগজ’ এর ভূমিকা এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য। তাদের উদ্যোগেই নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে ‘রিনির ডায়েরি’ নামে সপ্তাহে একটি উপসম্পাদকীয়। অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই গ্রামের কাগজ এর সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন সহ সকল কলাকুশলী বৃন্দকে। লেখার জগতে এসে আমি পেয়েছি অসংখ্য শ্রদ্ধাভাজন গুণী ব্যক্তিত্বের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ। তাঁদের প্রতি রয়েছে আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা। এছাড়া রয়েছে একঝাঁক ছোটো ছেলেমেয়ে, তাদের কেউ ভাই, বোন বা সন্তান সমতুল্য। বইয়ের জন্য ওদের আবদার একপর্যায়ে দাবিতে পরিণত হয়। অশেষ ধন্যবাদ ছোটো ভাইতুল্য সুব্রত দে এর প্রতি। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে লেখা বাছাই এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বইটি প্রকাশের জন্য। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, যশোর জেলার সাথে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতাও আমাকে লিখতে সাহায্য করেছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সকল সদস্যদের প্রতি শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। পিতা মরহুম দেয়ানত আলী খান শিক্ষক ছিলেন। আমৃত্যু তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আত্ম-নিয়োগ করেছেন। পিতার আদর্শ অনুসরণই আমার পথ চলার প্রেরণা। সর্বোপরি আমার মা, ভাই ফেরদৌস খান এবং দুই পুত্র মোস্তফা মাহমুদ জনি, রাফসান মুস্তাফি দীপ, পুত্রবধূ শামসুন্নাহার জেসমিন এবং একমাত্র নাতি দিয়ান মাহমুদ, এদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা এবং প্রত্যক্ষ ভূমিকা বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে অপরিহার্য ছিল। এ কথা অনস্বীকার্য যে পরিবারের সহযোগিতা, প্রেরণা ছাড়া এই প্রয়াসের বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।