আপনার কখনো কি মনে হয়েছে কেন গরীবেরা সারা জীবন গরীব থাকে আর কেন ধনীরা সবসময় ধনী হতে থাকে? কেন স্কুল কলেজে আপনাকে টাকা উপার্জন সম্পর্কে কোন কিছু শেখানো হয়নি? কোন জিনিস গুলো আপনার ধনী করবে আর কোন জিনিস গুলো আপনাকে গরীব বানিয়ে দিবে? কিভাবে কিছু মানুষ তাদের জীবনে risk নিয়ে কোটিপতী হয়ে গিয়েছে? আপনার জন্য চাকরি নাকি ব্যবসা বেষ্ট? জীবনে চলার পথে এমন হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা হই। কিন্তু এই আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজ কখনোই আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিবে না। কেননা আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় taboo তো এই "টাকা"। আজ আর্থিক অজ্ঞতার কারনে আমাদের যুব সমাজ বার বার হোঁচট খেতে খেতে হাল ছেড়ে দেয়। হাজার হাজার startup শুরু হতেই না শেষ হয়ে যায়। সমাজের ৯৫ভাগ মানুষ financial freedom আশায় যোগ দেয় এক অসুস্থ ইঁদুর দৌড়ে । আর এভাবে একদিন হঠাৎ করে তাদের জীবনের শেষ সময় চলে আসে আর তারা আফসোস করে এই ভেবে যে তারা সারা জীবন কিছুই করেনি টাকার পিছনে ছুটা ছাড়া। আপনি নিশ্চই এমন শেষ চাইবেন না। তবে এই বইটি আপনারই জন্য। এই বইটি আপনাকে রাস্তা দেখিয়ে দিবে, আপনাকে শুধু সেই রাস্তায় চলতে হবে।
নাম ফয়েজ আহমেদ প্রান্ত। জন্ম রাজধানীর ঢাকায়। পরিবারে ৩ ভাইবোনের মাঝে সবার বড় সে। কম্পিউটার প্রকৌশলের ছাত্র, পেশায় সে একজন ডিজাইনার। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় Educational platform "10 Minute School"-এ Senior Executive হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানিতে কাজ করেছেন এইটুকু বয়সে। ছোটবেলা থেকে গল্প শুনতে খুব ভালো লাগতো তার। আর এই গল্প শুনতে শুনতে, একসময় শুরু করে লেখালেখি। তার লেখা গল্পগুলো প্রায়ই সে তার বন্ধুদের পড়ে শুনাতো। এইভাবে চালিয়ে যেতে থাকে পড়া ও লেখা। তবে বই পড়ার সাথে তাল মিলাতে পারেনি তার লেখার চর্চা । পড়াশুনার চাপে, এক পর্যায় বাধ্য হয়ে ছেড়ে দেয় লেখালেখি। তবে তখনো চালিয়ে গিয়েছেন বই পড়া। আর এই বই পড়তে পড়তে একটা সময় সে আবিষ্কার করে সমাজের বেশ কিছু taboo-এর মাঝে সবচেয়ে বড় taboo হচ্ছে টাকা। বেঁচে থাকার এই অপরিহার্য উপাদান টাকা সম্পর্কে সমাজের মানুষের কেন এত উদাসীনতা? কেন স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদেরকে টাকা উপার্জন করা শেখায় না? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়িয়েছেন তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু বইগুলোর কাছে থেকে। অনেক অজানা উওর পেয়েছে সে। আর তাই সে চায় তার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে সমাজের এই taboo গুলো ভাঙতে । তাই আবারো হাতে তুলে নিয়েছে কলম, শুরু করেছে লেখা।