ভূমিকা "বিষয় অনুসারেই রচনার ভাষার উচ্চতা বা সামান্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিত। রচনার প্রধান গুণ এবং প্রথম প্রয়োজন, সরলতা ও স্পষ্টতা। যে রচনা সকলেই বুঝিতে পারে এবং পড়িবামাত্র যাহার অর্থ বুঝা যায়, অর্থগৌরব থাকিলে তাহাই সর্বোৎকৃষ্ট রচনা।" প্রবন্ধ এক শ্রেণির রচনা হলেও সমস্ত রচনাকে আমরা প্রবন্ধ বলি না। 'প্রবন্ধ' কথাটির ধাতুগত অর্থ হল 'প্রকৃষ্টরূপে বন্ধন' আছে যার। ভাবনা ও মত প্রকাশ যখন যুক্তির বন্ধনে বাঁধা পড়ে গদ্যে লেখা সাহিত্য হয়ে ওঠে, তখন তাকে প্রবন্ধ বলে। প্রবন্ধ হল জ্ঞানের সাহিত্য। বাংলায় প্রবন্ধকে সাধারণভাবে রচনা বলা হলেও, সমস্ত প্রবন্ধ বিশেষ শ্রেণির রচনা হলেও, সমস্ত রচনাকে কিন্তু প্রবন্ধ বলা যায় না। 'রচনা' শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন- 'ছন্দরচনা', 'গল্পরচনা', 'কবিতারচনা', 'রম্যরচনা', 'শয্যারচনা' ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে প্রবন্ধও এক শ্রেণির রচনা বলে 'প্রবন্ধ রচনা' বলা হয়। ইংরেজি 'Essay' -র প্রতিশব্দ হল 'প্রবন্ধ'। ধাতুগত অর্থের বাইরে এর মূল অর্থ এসে দাঁড়ায় 'প্রয়াস'। এই শ্রেণির রচনায় লেখকের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক ও যুক্তি তর্কের প্রয়াস থাকে। জ্ঞান-বিবেক-যুক্তি-বুদ্ধি তর্কের মিশ্রণে মনের মাধুরী দিয়ে সাজিয়ে লেখক.......