সুন্দর ঝলমলে শহর প্যারিস। সবকিছু সুন্দর মতো চলছিল প্যারিসে। আর তখনই নেমে এলো প্যারিসের এক গাঢ় নিকষ অন্ধকার। আর সেটা হলো হঠাৎ করেই নিখোঁজ হতে লাগল প্যারিসের নিঃষ্পাপ শিশু। তবে চিরতরে নিখোঁজ নয়। তাদের আবার ফিরে পাওয়া গেল নিখোঁজ হওয়ার কিছু দিন পর। তবে জীবিত নয়। মৃত। আর সেই মৃত্যুর রূপ ভয়ংকর। বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার মতো এক কাঁপন। মিস্টার ক্লার্ক। যে কি না অদ্ভুত চিন্তার অধিকারী। এবং প্রচণ্ড সাহসী একজন মানুষ। তার চিন্তার ধরন ভিন্ন। সাধারণ মানুষের চাইতে সে কিছুটা ব্যাতিক্রম। সে জানতো প্যারিসে কেন এই খুনগুলো হচ্ছে। আর কারা করছে খুনগুলো। খুনগুলো হচ্ছে একটা ভয়ংকর কুসংস্কার চিন্তাকে কেন্দ্র করে। যেই কুসংস্কারটার সফল করার প্রক্রিয়া নির্মম এবং মর্মান্তিক। আর এই কাজগুলো করে যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত কিছু মানুষ। তারা এই কুসংস্কারে এমনভাবে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে যে তাদের মন থেকে মায়া আর মনুষত্ববোধ দুটোই উধাও হয়ে গেছে। যাদের মন থেকে মায়া আর মনুষত্ববোধ উধাও হয়ে যায় তারা চলে যায় নিষ্ঠুরতার শেষ পর্যায়ে। মিস্টার ক্লার্ক ভিন্নধর্মী চিন্তার মানুষ হওয়ার কারণে সে তার ছেলে অ্যালেনকে বলল, শহরে এভাবে শিশু খুন হচ্ছে আর তুই কিছু করতে পারছিস না? তারপর এমন তীক্ষè কিছু কথা বলল মিস্টার ক্লার্ক বাবা হয়ে সে ছেলেকে যেটার সম্পূর্ণর এক প্রচণ্ড প্রভাব গিয়ে পড়লো অ্যালেনের মনের ওপর। যে প্রভাব ঝড়ের মতো শক্তিধর। অ্যালেনের মনের সাহসের দরজা খুলে গেল। সে তার সব চাইতে কাছের প্রিয় চারজন বন্ধু রেড, পিটার, ডেভিড এবং টোবিয়াসকে নিয়ে খুলে ফেলল একটা ক্লাব। যেটার নাম করন করা হলো ডেঞ্জার ক্লাব। মিস্টার ক্লার্কের উস্কানিতে এগিয়ে চলল ডেঞ্জার ক্লাব। আর এটাও অগ্রিম জানিয়ে দিলো সে, এই তোদের ছুটে চলা শুরু। এখন থেকে তোদের শুধু ছুটতেই হবে পাগলা ঘোড়ার মতো। একের পর এক রহস্যর সমাধান করতে হবে। যতদিন তোদের বুকের সাহস কমে না যায়। সামনে এগিয়ে গেলে বাধা আসবে। সেই বাধাগুলোকে কি ভেঙে চুড়মার করতে পারবে পাঁচজন যোদ্ধা এবং একজন অভিভাবকের এই ক্লাবটি?