জীবন যেন অজানা সুড়ঙ্গ পথ। সেই অজানা সুড়ঙ্গে কখনো কখনো যুক্ত হয় অপ্রত্যাশিত কিছু বাঁক, যেখান থেকে জীবনে নেমে আসে কল্পনাতীত দুর্ভোগ। সেই সংকটকাল কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ধীশক্তি সবার সমান নয়। ‘গন্দম’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র তনিমার সে শক্তি হয়ত ছিল, তাই জীবনের প্রতিটি জংশনে এসে সম্পূর্ণ ভিন্ন রাস্তায় চলেও পেয়েছে সঠিক পথের সন্ধান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তনিমা কি নিজ বিচার শক্তি ও প্রজ্ঞা দিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে সকল সংকট মুহূর্ত? নাকি জীবনের অ্যালগোরিদম এলোমেলোভাবে সাজিয়ে রাখা হয় যা পরিশেষে দুইয়ে দুইয়ে ঠিকি মিলে চার হয়, যেখানে ব্যক্তির কোন পছন্দ অপছন্দ নেই, শুধু জীবনের পথে হেঁটে চলা ছাড়া? আসলে, মানুষের জীবন যাত্রা অপ্রত্যাশিত গন্তব্যের পথেই চলে যায়। মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনই মূল্য নেই এখানে। তনিমার জীবন হয়তো একটু বেশিই অপ্রত্যাশিত। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে তনিমার সেই জীবন যাত্রার গল্প, দেশ থেকে দেশান্তরে যা বহমান। ‘গন্দম’ উপন্যাসটি রোমান্টিক থ্রিলার ধারার বই। এখানে প্রেম, জীবনবোধ, বিশ্ববোধ, ইতিহাস এবং বিশ্ব রাজনীতি ঘটনা চক্রে উঠে এসেছে।উপন্যাসের নাম ‘গন্দম’ তথা বেহেশতি নিষিদ্ধ ফল হবার যথোপযুক্ত যুক্তি পাঠক উপন্যাসের একদম শেষে এসে উপলব্ধি করতে পারবে, আর এখানেই নিহিত রয়েছে রহস্য রোমাঞ্চ। উপন্যাসের ঘটনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ অবধি বিস্তৃতি লাভ করেছে।
জন্ম এবং বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকায়। ছয় বছর বয়স থেকে সংগীত চর্চার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পদার্পণ। কবিতার প্রতি ভালোবাসা কৈশোর থেকে। লেখালেখির শুরু হয় ডাইরি লেখার মাধ্যমে, আর ডাইরি লেখার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থেকেই । ভালোবাসেন গান শুনতে , গান গাইতে, বই পড়তে, লিখতে এবং ছবি আঁকতে । ছোট বেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেছেন। স্কুল জীবনে নানা প্রকার সংগীত চর্চা এবং সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যস্ত সময় কাটাতেন তিনি। বর্তমানে লেখালেখির চর্চা অব্যাহত আছে সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে। ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশুনা শেষ করে পাড়ি দেন যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্যে এসে তিনি আইন নিয়ে পড়াশুনা করেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন।