বয়ঃসন্ধির হাতছানিতে পৌঢ়ত্বের নিদারুণ ভবদশা দেখে নিঃশেষিত হয়েও মুগ্ধতার হাজারো রং হৃদয় ও মনে মেখে মানব প্রেমে আবিষ্ট কবি প্রহর গুনে চলেছেন দুই উদয়াচল ও অস্তাচলের মাঝে । রক্তাক্ত হৃদয়ের বেলাভূমিতে সান্ত্বনার ভূরিভূরি সনাতনী বাণী কবির অভুক্ত দেহ মনের গভীরে সৃষ্টি করেছে নিঃশব্দ বঞ্চনা হাহাকারের তীব্র জ্বালা। অবৈধ সুখের বজরায় ভেসে ভেসে কবি কখনোই অনুভব করেননি পরম শান্তির বসন্ত বিলাস। কামনা বাসনা লোভ লালসার সাগরে ডুব দিয়ে কীভাবে মানবজাতি খুঁজে পাবে মুক্তির আত্মদর্শন তারই চিন্তায় কবি ডুব দিয়েছেন হৃদয়ের গহিনে। আত্মমুক্তির দর্শনই ভালোবাসার অচিন পাখি হিসেবে ধরা দিয়েছে কবরি মণিকোঠায়। অন্তদৃষ্টির আলোয় কবি অবলোকন করেছেন বৈরাগী মনের প্রতিটি ভাঁজে অন্তহীন বাসনার ফুল ফোটে যার পরিণতিতে সাধনার অতন্দ্র কারাগারে বসেও মানব চরিত্রের দুর্নাম কুৎসা রটে। তবুও কবির ভাবনায় প্রতিভাত হয় সাধ, সাধনা ও সাধক সবকিছুই মিলেমিশে এক হয়ে যায় পবিত্র বাকায়। কবি অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন সেই অচিন পাখিকে পবিত্র বাকায় যেখানে এক হয়ে গেছে প্রেম, প্রেমিক ও প্রেমাস্পদ এমনিভাবেই নানারকম দার্শনিক ভাবনা ও চিন্তার খোরাক কবি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আমাদের সম্মুখে ফুটিয়ে তুলেছেন এবং কবি দিয়েছেন এক অনন্ত ও অতিন্দ্রিয় জগতের সন্ধান।